বিশেষ প্রতিবেদন

অনুমোদিত স্কুলে ভর করে চলছে অবৈধ স্কুল, রমরমা বাণিজ্য

** অনুমোদিত স্কুলের রেজিস্ট্রেশনে পাবলিক পরীক্ষায় অননুমোদিত স্কুল** লটারিতে শিক্ষার্থীই পায়নি এমপিওভুক্ত ৩ হাজার স্কুল** সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সচেতন নন অভিভাবকরাও

Advertisement

দেশের কিন্ডারগার্টেনগুলোতে আগে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে বই সরবরাহ করা হতো। তবে ২০২১ সাল থেকে বৈধ-অবৈধ সব কিন্ডারগার্টেনে নবম-দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে বই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ফলে অনুমোদন না থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। এতে অবৈধ এসব স্কুল মালিকদের ‘শিক্ষা ব্যবসায়’ টিকে থাকা সহজ হয়েছে। সুযোগ-সুবিধা পাওয়ায় কিন্ডারগার্টেনে এইচএসসি স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাউশির মহাপরিচালক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে অনুমোদনহীন স্কুলে নবম-দশম শ্রেণি পর্যন্ত বই দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২১ সাল থেকে অনুমোদনহীন স্কুলগুলোতেও সরাসরি পাঠ্যবই বিতরণ করা হচ্ছে।

মাউশি সূত্রে জানা গেছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি স্কুলে ভর্তির কেন্দ্রীয় লটারিতে সারাদেশের প্রায় তিন হাজার স্কুলে ভর্তির জন্য কেউ আবেদন করেনি। খোদ রাজধানীতে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় এক হাজার। এসব প্রতিষ্ঠানের সবগুলো এমপিওভুক্ত। একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রেও এমন চিত্র দেখা গেছে। অনুমোদন থাকলেও শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়ায় তারা অবৈধ বা অনুমোদনহীন স্কুল থেকে শিক্ষার্থী ধার করে। শিক্ষার্থীরা ক্লাস করেন অবৈধ স্কুলে। তবে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেন অনুমোদিত এসব স্কুলের নামে। এভাবে অবৈধ স্কুলগুলোকে ‘ফিডিং স্কুল’ হিসেবে ব্যবহার করে শিক্ষার ব্যবসা চালানো হচ্ছে।

Advertisement

শিক্ষার্থী ধার করে এমন অনুমোদিত স্কুল বেশ কিছু পাওয়া গেছে রাজধানীর মিরপুরে। এর মধ্যে রয়েছে মিরপুর-৬ নম্বরের ইসলামিয়া হাই স্কুল, মিরপুর-১২ নম্বরের সুলতান মোল্লা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ইনডোর স্টেডিয়ামের পাশে মিরপুর আদর্শ বিদ্যা নিকেতন, রূপনগর আদর্শ স্কুল, মিরপুর-১০ নম্বরের আলহাজ্ব মধু ব্যাপারী উচ্চ বিদ্যালয়। এক একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে মিরপুর এলাকার প্রায় ১৫-২০টি অবৈধ কিন্ডারগার্টেন গড়ে উঠেছে। তারা লোভনীয় অফারে শিক্ষার্থী ভর্তির পর অনুমোদিত স্কুলের নামে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করিয়ে থাকে। পাবলিক পরীক্ষায়ও অংশ নেয় অনুমোদিত স্কুলের নামে।

আলহাজ্ব মধু ব্যাপারী উচ্চ বিদ্যালয় অনুমোদিত হলেও চলছে শিক্ষার্থী ধার করে/ছবি: জাগো নিউজ

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিরপুর ৬ নম্বরের ইসলামিয়া হাই স্কুল ২০০৬ সালে পাঠদানের অনুমোদন এবং ২০০৮ সালে পাঠদানের স্বীকৃতি পায়। এরপর ২০২০ সালে এ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। শুরুতে টিনশেড কয়েকটি রুমে স্কুলটি চললেও বর্তমানে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ছয়তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ইসলামিয়া হাই স্কুলে নয়জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী এমপিওভুক্ত হিসেবে বেতন-ভাতা সুবিধা পাচ্ছেন। এর বাইরে আরও আটজন অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

প্রতিষ্ঠানটির অষ্টম শ্রেণিতে পাঁচ শতাধিক, নবম শ্রেণিতে ৩০০ এবং দশম শ্রেণিতে সাড়ে ৩০০ শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন থাকলেও জানা গেছে, এই তিন স্তরে তাদের নিজেদের শিক্ষার্থী রয়েছে ১৫০ জনের মতো। বাকিগুলো ১৪টি অবৈধ ফিডিং স্কুলের শিক্ষার্থী। অনুমোদন ছাড়া এসব স্কুলের শিক্ষার্থী দিয়ে তাদের এমপিও সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।

জানতে চাইলে এই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আশপাশে অনেক ভালো স্কুল থাকায় আমাদের এখানে শিক্ষার্থী আসতে চায় না। আগে টিনশেডের কয়েকটি রুমে স্কুল চালানো হতো। বৃষ্টি হলে সেখানে পানি পড়তো। বর্তমানে ছয়তলা ভবন করা হচ্ছে। আশা করি ভবিষ্যতে এই স্কুলটি আরও ভালো হবে।’

অনুমোদিত মিরপুর-১০ নম্বরের আলহাজ্ব মধু ব্যাপারী উচ্চ বিদ্যালয়ও চলছে অনুমোদনহীন ১৬টি ফিডিং স্কুলের শিক্ষার্থী দিয়ে।

প্রতিষ্ঠানটির ভেতর গিয়ে দেখা যায়, টিনশেডের পাঁচটি রুমে স্কুল ও উল্টোপাশে পাঁচটি রুমে কলেজ খোলা হয়েছে। এখানে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ানো হচ্ছে। ২০১০ সালে মাধ্যমিক স্তরে পাঠদানের অনুমোদন পেলেও শর্ত পূরণ না হওয়ায় এই স্কুলে পাঠদানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। বর্তমানে তাদের কাগজ-কলমে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সহস্রাধিক শিক্ষার্থী আছে, যদিও ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত তাদের নিজেদের শিক্ষার্থী আছে ৭৭ জন।

অনেক অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চায় না/ছবি: জাগো নিউজ

আলহাজ্ব মধু ব্যাপারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্কুলটি আকারে ছোট হওয়ায় শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চায় না। এ কারণে পার্শ্ববর্তী অনুমোদন নেই এমন অনেক স্কুলের শিক্ষার্থী এখান থেকে পরীক্ষা দিয়ে থাকে। আগে আরও বেশি স্কুলের শিক্ষার্থী এখান থেকে রেজিস্ট্রেশন করা হলেও বর্তমানে কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। পাঠদানের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। সে কারণে ফিডিং স্কুলগুলোকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে এসব স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বই এনে তাদের দিতে হতো। এতে অনেক ঝামেলা হয়। ২০২০ সাল থেকে অনুমোদনহীন স্কুলগুলোকে সরকার পাঠ্যবই তুলে দিচ্ছে। সরকার সরাসরি তাদের বই দিলে আমরা সেসব স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিলে সেটি অন্যায় হবে মনে করি না।’

অনুমোদনহীন স্কুলে সরকারি সুবিধা দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মিরপুর পল্লবী থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার শারমিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী, গত বছর থেকে অনুমোদহীন স্কুলে বিনামূল্যে বিতরণের বই সরাসরি পাঠাচ্ছি। তবে এর আগে অর্থাৎ ২০২০ সাল পর্যন্ত অনুমোদনহীন স্কুলে বই পাঠানো হতো না। ওই শিক্ষার্থীরা অনুমোদিত যে স্কুলে নাম রেজিস্ট্রেশন করাতো, সেখানে বই পাঠাতাম।’

তিনি বলেন, ‘অনুমোদনহীন স্কুলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুবই ভয়াবহ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। কাউকে পেলেও তাদের কাছে কোনো তথ্য পাওয়া কঠিন। যেহেতু এক বছরের বইয়ের জন্য আগের বছরে চাহিদা পাঠাতে হয়, সে কারণে তাদের কাছে চাহিদা চাইলেও দিতে পারে না। ২০ শতাংশ স্কুলও সময়মতো চাহিদাপত্র পাঠায় না। কিন্তু পরে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারলে বইয়ের জন্য এসে ঝামেলা করে। এতে পুরো প্রক্রিয়াই বাধাগ্রস্ত হয়।’

অনুমোদনহীন স্কুলে বিনামূল্যের বই বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান (চলতি দায়িত্ব) মশিউজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ২০১০ সালে দেশে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যের বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। সে সময় সব স্কুলে বই বিতরণ করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ন্যূনতম পাঠদানের অনুমোদন থাকলেই বিতরণের বই দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে।

তিনি বলেন, এনসিটিবি থেকে যেসব বই বিতরণ করা হয়ে থাকে তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে যে চাহিদা দেওয়া হয়ে থাকে, তার ভিত্তিতে হয়। তারা এ চাহিদা থানা, উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করে থাকে। সে চাহিদা অনুযায়ী বিনামূল্যের বই পৌঁছে দেওয়া হয়ে থাকে। সেসব বই তারা কাদের দিচ্ছে, এর দায়দায়িত্ব বিতরণকারী কর্তৃপক্ষের।

অনুমোদনহীন স্কুলে কোনো ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা সরাসরি দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করে মাউশির মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘অবৈধ স্কুল-কলেজেও অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে। এজন্য মানবিক কারণে তাদের পাঠ্যবই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারিভাবে এসব কিন্ডারগার্টেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠতে পারতো না।’

তবে সেখানে ভর্তিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আরও বেশি সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মাউশি মহাপরিচালক।

যদিও সরকার দেশে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর পরিবর্তে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ শুরু করেছে। তার আলোকে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বাস্তবভিত্তিক যুগোপযোগী কারিকুলাম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন কারিকুলামের ওপর প্রথম ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাইলটিং বা পরীক্ষামূলকভাবে পড়ানো শুরু হবে। পাইলটিংয়ের জন্য দেশের ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৭০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্বাচন করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীসহ সারাদেশের জেলা পর্যায়ে গড়ে ওঠা ভুঁইফোঁড় কিন্ডারগার্টেনে দুই কোটির বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। সরকার সেদিকে নজর না দিলে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

রাজধানীর যত্রতত্র গড়ে উঠছে অনুমোদনহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/ছবি: জাগো নিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ তারেক আহসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘কিন্ডারগার্টেন নিয়ন্ত্রণে যে ধরনের জনবল দরকার, তা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নেই। দায়িত্বে যারা আছেন, তারা নানাভাবে প্রভাবিত হয়ে চোখ বন্ধ রাখেন। সেই সুযোগে অবৈধ স্কুল-কলেজ গড়ে উঠছে। এসব নিয়ন্ত্রণে একটি শিক্ষা আইন তৈরি করা হলেও তা ২০১৩ সাল থেকে ঝুলে আছে। বিভিন্ন সময়ে সংসদীয় কমিটিতে উঠলেও তা ঝুলে যাচ্ছে। অনেক ধরনের স্বার্থান্বেষী মহল নানাভাবে প্রভাবিত করে শিক্ষা আইন আটকে রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের শিক্ষা আইনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কিন্ডারগার্টেন অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে এবং সরকারের কারিকুলাম অনুসরণ করতে হবে। শিশুদের কাঁদে বাড়তি বইয়ের বোঝা তুলে দেওয়া যাবে না। অথচ আট বছরেও তা বাস্তবায়নের পথে হাঁটা যায়নি।’

অধ্যাপক মোহাম্মদ তারেক আহসান বলেন, ‘শিক্ষা আইন বাস্তবায়ন হলে ভুঁইফোঁড় স্কুল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। মাননিয়ন্ত্রণের জায়গাটা অন্তত তৈরি হতো। এটা না হওয়ার কারণে ইচ্ছেমতো অর্থ আদায় করা হচ্ছে। বাড়তি বইয়ের বোঝা তুলে দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে, যেগুলো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোনো প্রয়োজন নেই। একইসঙ্গে এসব স্কুলে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তাদের একাডেমিক যোগ্যতা নেই। কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়াই তারা শিক্ষক হয়ে গেছেন। করোনার কারণে এখন অনলাইনে বাসায় বসে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে, তা দেখলে অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আগে সেটি বোঝা যেতো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সচেতন বাবা-মা বিষয়টি বুঝতে পারেন। তবে যারা অসচেতন, তারা কোনোভাবেই বুঝে উঠতে পারছেন না। তাদের সন্তানদের ওপর রীতিমতো টর্চার (নিপীড়ন) করা হচ্ছে, তার ছিটেফোঁটাও ধারণা করতে পারছেন না অভিভাবকরা। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। শিক্ষা আইন-২০১৩ বাস্তবায়ন করা গেলে হলে তা বহুলাংশে বন্ধ করা সম্ভব হবে।’

এমএইচএম/এএএইচ/এইচএ/জিকেএস