পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার মধ্য আঙ্গারপাড়া এলাকায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, বাড়ি-দোকানপাটে ভাঙচুরের ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত আতঙ্ক কাটেনি। বুধবার পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও শুক্রবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এমরান হোসেন বাচ্চু ও পৌর কমিটির সভাপতি সোহেল চৌকিয়ার নেতাকর্মীদের মধ্যে এ হাঙ্গামার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় সোহেল চৌকিয়া ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শহিদের নেতৃত্বে উত্তেজিতরা এমরান হোসেন ও যুবলীগ নেতা খোকনের দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুর করে।এদিকে, আঙ্গারপাড়া ও আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসীদের কাছে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তারা জানান, এমরান হোসেন বাচ্চু পৌরসভা নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ড উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী করা হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী রাশেদকে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আহসান হাবীব কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ছাত্রলীগ নেতা সোহেল চৌকিয়া নির্বাচনে আহসান হাবীবের হয়ে কাজ করেছেন। এমরান হোসেন বাচ্চুর অভিযোগ, সোহেল চৌকিয়া ও শহিদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এসময় মোস্তফা মিয়া, ছমেদ কাজী, আবদুর রহিম ও সাফায়াতের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। সন্ত্রাসীরা দরিদ্র রুস্তম মিয়ার বসতঘরে ঢুকে ভাঙচুর ও মালামাল তছনছ করেন। হামলার ঘটনার রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সোহেল চৌকিয়া জাগো নিউজকে জানান, এলাকা এখন শান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোলায়মান চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পুড়িয়ে দেয়া ও ভাঙচুর করা দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা মীমাংসা করে দেবেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।কাজল কায়েস/এমজেড/এমএস
Advertisement