অর্থনীতি

দেবপ্রিয় ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব করেছে এনবিআর

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী ইরিনা ভট্টাচার্যের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গোয়েন্দারা।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে ব্যাংক হিসাব ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ তথ্য জানতে চেয়ে সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুটি চিঠি দিয়েছে।২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে এই দম্পতির সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য আগামী ৭ দিনের মধ্যে জমা দিতে চিঠিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) আলাদাভাবে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, দেবপ্রিয় ও ইরিনার নামে কোনো বিও অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেলে তার তথ্যও সিআইসিকে দিতে হবে। বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে দেবপ্রিয় ও তার স্ত্রী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের একক বা যৌথ নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব, মেয়াদি আমানত হিসাব (এফডিআর ও এসটিডি হিসাবসহ যেকোনো ধরনের বা নামের মেয়াদি আমানত হিসাব), যেকোনো ধরনের বা মেয়াদের সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনো ধরনের সেভিংস ইন্সট্রুমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট স্কিম বা অন্য যেকোনো ধরনের বা নামের হিসাব পরিচালিত বা রক্ষিত থাকলে ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী ও ঋণের বিপরীতে রক্ষিত জামানতের বিবরণী পাঠাতে বলা হয়েছে।এর পাশাপাশি চিঠিতে পূর্বে ছিল কিন্তু এখন বন্ধ হয়ে গেছে এমন হিসাবের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর ধারা ১২৪(১) অনুযায়ী এককালীন ২৫ হাজার টাকা এবং পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে। পাশাপাশি আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর ধারা ১৬৪(সিসি) ধারা অনুযায়ী অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড আরোপে ফৌজদারি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।এ বিষয়ে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘এর আগেও ২০০২-০৩ সালে বিএনপি সরকারের সময় অর্থনীতি নিয়ে কথা বলার সময় এ ধরনের হয়রানি করা হয়েছিল। উনারা আইনানুগভাবে যতটুকু করতে পারবে, তা করুক।’একে/এমএস

Advertisement