শিক্ষা

পরীক্ষা চলমান রাখতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলমান রাখা, করোনায় সেশন জটের হাত থেকে মুক্তি পেতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

রোববার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বয়স এমনিতেই বেড়ে যাচ্ছে, এভাবে চললে আমাদের আরও ক্ষতি হবে। বাণিজ্যমেলা চলতে পারলে আমাদের পরীক্ষা কেন নেওয়া হবে না।

শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনার অজুহাতে বার বার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হচ্ছে। তাতে করে বেশির ভাগ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যখনই কোনো পরীক্ষা চলমান থাকে ঠিক তখনই করোনার অজুহাতে পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়। অন্ততপক্ষে আমাদের চলমান পরীক্ষা নিয়ে ভাবা উচিত সরকারের।

Advertisement

সিদ্বেশরী কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী উৎপল মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে কিন্তু আমাদের পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে। তিনটি পরীক্ষা বাকি রয়েছে। এটা নেওয়ার দাবি জানাই।

মানববন্ধনে আসা নিউ মডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী নাহিয়ান বিন নিরব বলেন, ২০২০ সালে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন ২০২২ চলে। আমাদের আর মাত্র ৩টা পরীক্ষা বাকি। করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। এবারও যখন মোটামুটি পরীক্ষা শেষের পথে, ঠিক সে সময় আমাদের চলমান পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা চাই আমাদের চলমান পরীক্ষা চলুক। অনলাইন-অফলাইন যেভাবেই হোক।

মানববন্ধনে যোগ দিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুলহক নুর বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে দাঁড়িয়েছে। আমি তাদের দাবির সঙ্গে একমত। হঠাৎ করে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া এটা হঠকারি সিদ্ধান্ত। করোনা আগের মতো ভয়াবহ নয়। তাদের তিনটি পরীক্ষা বেশি সময় লাগার কথা নয়। না নিলে চাকরির ক্ষেত্রে অনেক সমস্যায় পড়বে এই শিক্ষার্থীরা।

নুরুলহক বলেন, এর আগেও চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন করেছে। তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। ছাত্রদের দাবিগুলো যৌক্তিক। এগুলো মেনে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। নয়তো আমরাও তাদের আন্দোলনে সামিল হয়ে বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেব।

Advertisement

এদিকে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার দুই সপ্তাহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একই পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এরপরই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবধরনের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

আরএসএম/এমআরএম/জেআইএম