খেলাধুলা

১২ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বিসিএল

ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) চতুর্থ আসর শুরু হচ্ছে আগামী ১২ জানুয়ারি। গতবার এই টুর্নামেন্টটি ওয়ানডে আকারে হলেও এবারের ফরম্যাট সাজানো হয়েছে চার দিনের ম্যাচ দিয়ে। জিম্বাবুয়ে সিরিজ ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য দেশের মূল ভেন্যুগুলো ব্যস্ত থাকার কারণে টুর্নামেন্টের সবগুলো খেলা হবে রাজশাহী এবং বগুড়াতে। বুধবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান আকরাম খান।আকরাম বলেন, ‘আগামী ১২ জানুয়ারি বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ড শুরু হবে। গতবার ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন করলেও এবার লংগার ভার্সনের টুর্নামেন্ট শুরু করছি। টুর্নামেন্ট শেষ হতে ৪০-৪৫ দিন লাগবে। আগের বিরতি ছিল দুদিন। এবার তিনদিন করা হয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের জন্যে বগুড়া ও রাজশাহীতে খেলা হবে।’অঞ্চলভিত্তিক চার দিনের ম্যাচের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী চারটি দল হলো- ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন, প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন, ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন ও বিসিবি নর্থ জোন। এবারের আসরে প্রতি ম্যাচের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পাবেন ২৫ হাজার টাকা। দিন প্রতি হাতখরচ দেওয়া হবে ২ হাজার টাকা করে। চ্যাম্পিয়ন দল ২৫ লাখ এবং রানারআপ দল পাবে ১৫ লাখ টাকা। এছাড়া ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট পাবেন ১ লাখ টাকা করে।গত মৌসুমে জাতীয় লিগে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনে দেয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সাদমান ইসলামের ইস্ট জোনে খেলা নিয়েও একই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বুধবার বিসিএলের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আকরাম খান বলেন,‘গতবার যারা খেলেছে, তারা এবারও একই দলে খেলছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা কিছু কিছু খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিয়েছিল। এ কারণেই ওরা অন্য দলে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। তখন সমঝোতার মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অন্যদলগুলোর সঙ্গে ওদের ব্যালেন্স করে দেওয়ার জন্যেই কিন্তু দল ঠিক করে দিয়েছে। বোর্ড একটি পলিসি করেছিল খেলোয়াড় বদল নিয়ে। কোনো ফ্রাঞ্চাইজি কিংবা জাতীয় লিগে কোনো বিভাগ যদি কোনো ক্রিকেটারকে ছেড়ে দেয়, তাহলে ওই ক্রিকেটার অন্য কোনো দলে খেলার সুযোগ পাবে।’আরটি/আইএইচএস/এমএস

Advertisement