করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা শনাক্ত ৩৫ কোটির কাছাকাছি পৌঁছেছে। এ সময়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৬ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। ২৭ কোটি ৮১ লাখের বেশি রোগী এ রোগ থেকে সেরেও উঠেছেন।
Advertisement
রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৪ কোটি ৯৮ লাখ ২৩ হাজার ৬৭৮ জনের। করোনার এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫৬ লাখ ১০ হাজার ১৩৬ জন। এছাড়া সেরে উঠেছেন ২৭ কোটি ৮১ লাখ ৪২ হাজার ২৮৫ জন।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ১২ হাজার ৩১৪ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ৮৪১ জন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ কোটি ১৭ লাখ ২৮ হাজার ৫৫৭ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬২৩ জন।
Advertisement
তবে একদিনে আক্রান্তের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৩২০ জন এবং মারা গেছেন ১৬৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার ৮১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এবং এ রোগে মারা গেছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৫১৪ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৯২ লাখ ১২ হাজার জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ রোগে মারা গেছেন ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৪২২ জন।
তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এ পর্যন্ত সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ২০৭ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ২২ হাজার ৯৭৯ জন।
তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ইতালি, স্পেন, জার্মানি।
Advertisement
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের ওই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩৮ নম্বরে। দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৮ হাজার ২০৯ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে সর্বপ্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে ভাইরাসটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা দেয়। এ মহামারি শুরুর পর তা বেশ কয়েকটি ধাপে বাড়ে-কমে। সর্বশেষ গত বছরের শেষ থেকে নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে ফের বিশ্বব্যাপী লাগামহীনভাবে ছুটছে করোনাভাইরাস।
এমএইচআর/এমএস