জাতীয়

ট্রেনে মানা হচ্ছে না বিধিনিষেধ

দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এ অবস্থায় বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। কিন্তু আন্তঃনগর ট্রেনে যাত্রীদের এসব বিধিনিষেধ মানতে দেখা যায়নি। আগের মতোই গাদাগাদি করে যাচ্ছেন তারা। অনেকে বলছেন, জরুরি প্রয়োজনে তারা বাধ্য হয়ে যাতায়াত করছেন।

Advertisement

এর আগে ১১টি বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। সব প্রকার যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে।

এসব বিষয়ে জানতে শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে নরসিংদী থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়া হয়। সেখানে গেলে দেখা যায়, সিলেট থেকে কমলাপুরগামী আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেসের টিকিট কাটতে গিয়ে কাউন্টার থেকে ফিরে যাচ্ছেন একের পর এক যাত্রী। কাউন্টার থেকে ফিরলেও প্লাটফর্ম থেকে কেউ ফেরেননি। স্টেশনটিতে কালনী ট্রেনের পাঁচটি টিকিট থাকলেও যাত্রী উঠেছেন প্রায় ২শ’।

ট্রেনটিতে উঠে দেখা যায়, কোচগুলোতে ৬০-৬৫টি সিট রয়েছে। করোনায় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী অর্ধেক যাত্রী উঠার কথা থাকলেও তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। কোচে প্রতিটি সিট ভর্তি হয়েও দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন অনেকে।

Advertisement

নরসিংদী থেকে বিমানবন্দরগামী যাত্রী নুর মোহাম্মদ জাগো নিউজকে বলেন, টিকিট কাটতে চাই, কিন্তু টিকিট দেয় না। ট্রেনে উঠে টিকিট কালেক্টরকে দিয়েছি ১৫০ টাকা। এখন কথা হলো, যে টাকা নেয় সেটি সরকারের কোষাগারে যায় কি না সেটাও নিশ্চিত করে বলা যায় না। আমরা আসলে অসহায়।

অপর এক যাত্রী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, সিলেট থেকে ঢাকা যাচ্ছি। টিকিট পাঁচদিন আগে কাটলাম। অথচ ট্রেনে উঠে দেখি আগের মতোই যাত্রী। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো ব্যবস্থা নেই। কিছু করারও নেই। সবাই তো টিকিট কাটতে চায়। কিন্তু পাচ্ছে না। তাদের আবার জরুরি প্রয়োজনে ঢাকায় যেতে হয়।

এদিকে টিকিট ছাড়া উঠায় কালেক্টর বা চেকারদের কোনো বাধা দিতে দেখা যায়নি যাত্রীদের। এ বিষয়ে টিকিট চেকার ইব্রাহিম ভূঁইয়া ইমন জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের কিছু করার থাকে না। যাত্রীদের এতো চাপ থাকে যে, তাদের বাধা দিতে গেলে মারধরের শিকার হতে হয়।

নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবু তাহের মোহাম্মদ মুসা জাগো নিউজকে বলেন, টিকিট আছে পাঁচটি। কিন্তু যাত্রী উঠে ২শ’-৩শ’। আমাদের কিছু করার থাকে না।

Advertisement

ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন মাস্টার হালিমুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, করোনার কারণে আমাদের টিকিট সীমিত। এর মধ্যে ট্রেনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় চেক করি। টিকিট ছাড়া গেলে জরিমানা বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই।

আরএসএম/জেডএইচ/জেআইএম