তিন বছর আগের এই দিনে (২২ জানুয়ারি) না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সঙ্গীতজ্ঞ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। আজ শনিবার তার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা সঙ্গীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, গুণী গীতিকবি, সুরকার-সঙ্গীত পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চলে যাওয়ার এ দিনটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিচারণ করছেন অনেকেই। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়েছে অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীরা।
Advertisement
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর আফতাব নগরের বাসায় মারা যান তিনি।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের জন্ম ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। সত্তর দশকের শেষ লগ্ন থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সঙ্গীতাঙ্গনে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সঙ্গীত জগতের এই নক্ষত্র।
বহু কালজয়ী গানের স্রষ্টা এ শিল্পী প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। সঙ্গীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশের মানুষ তাকে দীর্ঘকাল স্মরণে রাখবে।
Advertisement
তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সব ক’টা জানালা খুলে দাও না’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘সেই রেললাইনের ধারে মেঠোপথটার পারে দাঁড়িয়ে’, ‘মাগো আর তোমাকে ঘুম পাড়ানি মাসি হতে দেব না’, ‘একতারা লাগে না আমার দোতারাও লাগে না’, ‘আমার সারাদেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘আমি তোমারি প্রেমও ভিখারি’, ‘ও আমার মন কান্দে, ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘এই বুকে বইছে যমুনা’ ইত্যাদি।
এমআই্/এলএ/জেআইএম