করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বব্যাপীই বেড়ে চলেছে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সবখানেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও সর্দি-কাশির মতো সাদারণ লক্ষণই প্রকাশ পায়।
Advertisement
অন্যদিকে ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর-সর্দি-কাশি-হাঁচিতে ছোট-বড় সবাই ভুগছে এ সময়। তবে এখন সামান্য হাঁচি-কাশি হলেই মাথায় একটাই শব্দ ঘুরছে, আর তা হলো ওমিক্রন!
আসলে করোনার এই নতুন রূপটির অধিকাংশ উপসর্গই সাধারণ ঠান্ডা লাগার মতোই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঠান্ডা লাগার উপসর্গগুলো কিন্তু সাধারণ নয়।
এ কারণে অবহেলাও করা যাবে না। তবে কীভাবে বুঝবেন যে সাধারন ঠান্ডা নাকি ওমিক্রন?
Advertisement
বিগত কয়েক মাসে রোগীদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ ওমিক্রন আক্রান্তই শরীরে যন্ত্রণা অনুভব করছেন।
আর এই যন্ত্রণা মূলত দেখা যাচ্ছে কোমর থেকে পা পর্যন্ত। সাধারণ ঠান্ডা কিংবা জ্বরে এ ধরনের ব্যথা বা যন্ত্রণা হয় না।
কোভিডের উপসর্গের উপর নজর রাখতে ‘জয়ি’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। ওই অ্যাপেই ওমিক্রনের দু’টি নতুন উপসর্গ ধরা পড়েছে। যা সাধারণ ঠান্ডা লাগার উপসর্গ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
লন্ডনের কিংস কলেজের অতিমারি বিষয়ক অধ্যাপক টিম স্পেক্টর জানিয়েছেন, ওমিক্রন আক্রান্তরা সংক্রমণের শুরুর দিকেই কমি ভাব অনুভব করছেন।
Advertisement
এর পাশাপাশি কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যথাতেও ভুগছেন বলে জানা গেছে ওমিক্রনে আক্রান্তদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী।
তবে এসব উপসর্গ মাত্র ৩-৪ দিন থাকছে। তারপর ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ব্রিটেন, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকার ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের উপর সমীক্ষা চালিয়েই এসব তথ্য জানা গেছে।
কিংস কলেজ অব লন্ডনের গবেষকরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে কোমরের নীচের অংশের ওই যন্ত্রণা মাঝে মধ্যে পেশির যন্ত্রণার মতো সারা শরীরে ছড়িয়েছে।
এমনকি সাধারণ ওষুধে অন্য উপসর্গ লাঘব হলেও ব্যথা কমতে সময় লেগেছে বলেও জানিয়েছেন কেউ কেউ।
ওমিক্রনের প্রধান কয়েকটি উপসর্গ হলো- গলায় অস্বস্তি, নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি ও ক্লান্তি ভাব। তার সঙ্গে পেশিতে ব্যথা ও বমি ভাবও ওমিক্রনের উপসর্গ বলে জানিয়েছে ‘জয়ি’ অ্যাপের সমীক্ষা।
এ ছাড়াও রাতের দিকে ঘাম হওয়া, গায়ে র্যাশ বেরনোর মতো কিছু উপসর্গও ধরা পড়েছে অ্যাপটিতে।
সূত্র: ইন্ডিয়া ডট কম
জেএমএস/এএসএম