আন্তর্জাতিক

ভারতে একদিনে শনাক্ত ৩ লাখ ৩৭ হাজার, মৃত্যু ৪৮৮

 

ভারতে হু হু করে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। প্রায় প্রতিদিনই নতুন করে সংক্রমণের রেকর্ড হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৭০৪ জন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ২২ শতাংশ।

Advertisement

একই সময়ে দেশটিতে মারা গেছেন ৪৮৮ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৬ জন। শনিবার (২২ জানুয়ারি) দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মহামারি শুরুর পর ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৩ হাজার ৭৩১ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন মৃত্যু ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ৬৩ লাখ ১ হাজার ৪৮২ জন। বিশ্বে করোনা সংক্রমণের হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে কেরালায়। রাজ্যটিতে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৬ জন। এ নিয়ে কেরালায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ৬০৭ জনে। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ হাজার ৬৬৮ জন। এ রাজ্যে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৫১২ জন। এছাড়া রাজ্যটিতে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৫০৩ জন।

Advertisement

সংক্রমণের তালিকায় রাজ্যগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্রে একদিনে শনাক্ত হয়েছে ৪৮ হাজার ২৭০ জন। একই সময়ে সেখানে মারা গেছেন ৫২ জন। অন্যদিকে দিল্লিতে একদিনে ১০ হাজার ৭৫৬ জন শনাক্ত এবং ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১৫৪ জন, কর্নাটকে ৪৮ হাজার ৪৯ জন, তামিলনাড়ুতে ২৯ হাজার ৮৭০ জন, উত্তর প্রদেশে ১৬ হাজার ১৫৯ জন, দিল্লিতে ১০ হাজার ১৭৫ জন এবং গুজরাটে ২১ হাজার ২২৫ জন শনাক্ত হয়েছেন।

এছাড়া সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিল্লিতে ৩৮ জন, তামিলনাড়ুতে ৩৩ জন, পাঞ্জাবে ৩১ জন, পশ্চিমবঙ্গে ৩৫ জন, কর্নাটকে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, ভারতের ২৯ রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ২০৯ জনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। করোনার অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রণের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ।

Advertisement

দেশটিতে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) টিকা নিয়েছেন ৭০ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৯ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছে বলে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এএএইচ/এমএস