শিশুদের মানবিক গুণে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বুধবার রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত শিশুদের মৌসুমী প্রতিযোগিতা-২০১৫ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। স্পিকার বলেন, শিশুদের সার্বিক বিকাশ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সাংস্কৃতিক চর্চার ভূমিকা অপরিসীম। সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে শিশুদের সুকুমার বৃত্তি ও মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটে। তাই আগামী দিনের সুনাগরিক হিসেবে শিশুদের গড়ে তুলতে তাদেরকে সাংস্কৃতিক চর্চার আরো বেশি সুযোগ করে দিতে হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।স্পিকার আরো বলেন, বর্তমান সরকার শিশুদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে চলেছে। শিশুদের পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। স্পিকার সমাজের সুবিধা বঞ্চিত ও দরিদ্র শিশুদের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশাত্ববোধ ও সুষ্ঠু জাতি গঠনের মানসিকতা নিয়ে যেন শিশুরা বেড়ে উঠতে পারে সেজন্য অভিভাবক ও শিক্ষকদের যথাযথ দ্বায়িত্ব পালনের উপর গুরুত্ব প্রদান করুন। এছাড়া তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি শিশুদের প্রতিভা বিকাশে সহশিক্ষা কার্যক্রমের উপরও গুরুত্ব দেন। শিশুদের উদ্দেশ্যে শিরীন শারমিন বলেন, তোমাদের সবাইকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে গড়ে উঠতে হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণই মূল বিষয়। তাই যারা পুরস্কার পাওনি তারা মন খারাপ না করে আরও কীভাবে ভালো করা যায় সেই চেষ্টা করে যাবে।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, শিশুদের ওপর নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। কোথাও কোনো শিশুর ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে আপনারা আমাদের জানাবেন।সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান ও দেশবরেণ্য কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ওই মন্ত্রালয়ের সচিব নাছিমা বেগম ও শিশু একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেন।দেশের তৃণমূল পর্যায়ে শিশুদের পারস্পরিক সু-সম্পর্ক গড়ে তোলা, হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার, দলগত সমঝোতা বৃদ্ধি এবং শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে গত ১০ সেপ্টম্বর দেশব্যাপী শিশুদের নিয়ে এই মৌসুমী প্রতিযোগিতা শুরু হয়।উপজেলা থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে জেলা ও অঞ্চল (বিভাগীয়) পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর এখান থেকে যে সব দল প্রথম স্থান অর্জন করে, সেই সব দল নিয়ে গত সোমবার ও মঙ্গলবার জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এইচএস/একে/আরআইপি
Advertisement