উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে অনশন ভাঙতে নারাজ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তারা না করে দেন। এছাড়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছন তারা।
Advertisement
অনশনের তৃতীয় দিন শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এসব কথা জানান।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি হলেও আমরা এখান থেকে সরবো না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমাদের অনশনের ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে কিন্তু ভিসি এখনো পদত্যাগ করেননি। অনশনে ২৪ জন থাকলেও একজনের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে বাড়িতে যেতে হয়েছে। বাকি ২৩ জনের কেউই অনশন ভাঙতে রাজি হয়নি। এখন পর্যন্ত ১২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা সংকটাপন্ন। শিক্ষার্থীরা জীবন বাজি রেখে এত ত্যাগ শিকার করছে শুধু উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য।
তারা আরও বলেন, আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকার ঘোষণা আসলেও আমাদের ক্যাম্পাস ও হল ১৬ তারিখ থেকে বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের ক্যাম্পাস নতুন করে বন্ধ দেওয়ার কিছু নেই। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যদি আলোচনা করতে হয়, তাহলে আমরা অনশন রেখেই আলোচনায় বসবো। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা এই জায়গা ছাড়বো না।
Advertisement
এর আগে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তিনি জানান, ভিসি তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান, হাসপাতালে অসুস্থ থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করবেন।
এর জবাবে অনশনরতরা বলেন, আমরা ভিসির সঙ্গে দেখা করবো না। তিনি এখান থেকে বের হতে পারবেন না। তাকে এখান থেকে যেতে হলে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে যেতে হবে।
এর আগে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ২৪ শিক্ষার্থী অনশন শুরু করেন। এর মধ্যে একজনের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি অনশন ভেঙে বাড়ি যান।
এসজে/এএসএম
Advertisement