খুলনা রেলওয়ের ডাক্তার বাড়ি উদ্ধারে দায়সারাভাবে কেবল একটি সাদামাটা সাধারণ ডায়েরি করেছেন কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের জমি অবৈধভাবে দখলকারী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রভাবশালী নেতারা যোগসাজশে গত নভেম্বর মাসে রাতের আধারে ডাক্তার বাড়িটি ভেঙে দিয়ে দখলে নেয় ভূমিদস্যুরা। এই জমির দাম দুই কোটি টাকার বেশি বলে সূত্র জানায়।এই জায়গায় দোকান বানিয়ে তা বিক্রি করার জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি টাকার বেশি অগ্রিম নেয়া হয়েছে বলে সূত্র জানায়। এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন রেলওয়ের টিবয় নামে পরিচিত মদন ওরফে মোহন। তার নেতৃত্বে এই ভূমিদস্যুরা খুলনা রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দখল করে ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।সূত্র আরও জানায়, রেলওয়ের জমি জবর দখলকারীরা নভেম্বর মাসের ১৩ তারিখ রাতে লেবার দিয়ে ৬৯ শতক জমির উপর অবস্থিত রেলওয়ের এম/১০ নম্বর বাড়িটির (ডাক্তার বাড়ি) ছাদ ভেঙে দেয়। এই জমিটি অনেক আগে ভূমিদস্যুরা দখল করার চেষ্টা করলে সেখানে বিআইডিব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ তালা ঝুলিয়ে দেয়। সূত্র জানায়, নভেম্বর মাসে রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মদন ওরফে মোহন বিএনপির জনৈক নেতার নেতৃত্বে রাতে ১০/১৫ জন শ্রমিক ডাক্তার বাড়ির ছাদ ভেঙে দেয়। এরপর মোহন এই জমি দখলের জন্য যশোর এবং পাকশীতে লোক পাঠিয়ে দেয়। এরা স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতাদেরও আগে থেকেই হাত করে নিয়েছে। এই ঘটনায় রেলওয়ের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী/কার্য মো. হাফিজুর রহমান গত ২০ ডিসেম্বর খুলনা সদর থানায় নামে মাত্র একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।অভিযোগ রয়েছে, তিনি দখলদারদের সঙ্গে আতাত করার কারণে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তাও অজ্ঞাতদের নামে।এ ব্যাপারে তিনি বলেন, কারো সঙ্গে আতাত না করেই থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে এজাহারের স্থানে কেটে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।এ ব্যাপারে মদন ওরফে মোহন জানান, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আমাকে হেয় করতেই এ ধরনের অপপ্রচার করছে কেউ। তিনি বলেন, আমি কখনও রেলের জমি দখল করিনি। আলমগীর হান্নান/এসএস/এমএস
Advertisement