মাস দেড়েক আগে এক জুম মিটিংয়ে একসঙ্গে ৯০০ কর্মী ছাটাই করে আলোচনার ঝড় তুলেছিলেন বেটার ডটকমের প্রধান নির্বাহী (সিইও) বিশাল গর্গ। সমালোচনার মুখে একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। কিন্তু বিরতি ভেঙে আবারও স্বপদে ফিরতে চলেছেন বিশাল। তার প্রত্যাবর্তনে কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেলেও অনেকেই আশাবাদী, ‘ভালো কিছু হবে’। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের তেমনটাই বিশ্বাস।
Advertisement
গত মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বেটারের পরিচালনা পর্ষদ কর্মীদের কাছে একটি নোটিশ পাঠায়। এতে জানানো হয়, বিশাল গর্গ বিরতি শেষে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে ফিরছেন। তার নেতৃত্বে বেটার ডটকম আরও ভালো করবে বলে আত্মবিশ্বাসী পরিচালকরা।
তবে কর্তৃপক্ষের এমন ঘোষণায় অসন্তুষ্ট বন্ধকী স্টার্টআপটির অনেক কর্মী। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী ডেইলি বিস্টকে বলেন, তাকে (বিশাল) কেউ ফেরত চায় না। আমি জানি, তিনি সিইও পদে ফিরলে অনেকেই চাকরি ছাড়বে। আমিও তাদের একজন।
তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে বেটার ও বিশাল গর্গের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
Advertisement
সমস্যার শুরু বলা যায় গত ডিসেম্বরের ১ তারিখে। সেদিন কর্মদিবসের শুরুতেই ৯০০ কর্মীকে জুম মিটিংয়ে ডকেন তৎকালীন সিইও। অনেকেই ভেবেছিলেন, মাত্র একদিন আগে ৭৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ পাওয়ার বিষয়ে হয়তো আলোচনা হবে।
কিন্তু বিশালের নির্লিপ্ত কণ্ঠের এক ঘোষণায় স্বপ্ন ভেঙে যায় সবার। তিনি ঘোষণা দেন, যারা এই মিটিংয়ে রয়েছেন, তারা এক দুর্ভাগা দলের অংশ। এই মুহূর্ত থেকে আপনাদের চাকরি নেই।
পরে কর্মী ছাটাইয়ের কারণ হিসেবে তাদের ‘অলস’ বলে উল্লেখ করেন বেটার সিইও। অনেকে মাত্র দুই ঘণ্টা কাজ ককরেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। একে ‘চুরি’র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন বিশাল।
তিন মিনিটের ওই জুম মিটিংয়ের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। কর্মী ছাটাইয়ের এক সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করেন বেটারের হেড অব মার্কেটিং, হেড অব পাবলিক রিলেশনস ও ভাইস প্রেসিডেন্ট অব কমিউনিকেশনস। পরে সরে দাঁড়ান বিশাল নিজেও।
Advertisement
বেটার সিইও’র জন্য অবশ্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। তিনি একসময়ের ব্যবসায়িক অংশীদারকে জ্যন্ত পুড়িয়ে মারা হুমকি দিয়েছিলেন বলে ২০২০ সালে খবর প্রকাশ করেছিল ফোর্বস। এক ইমেইলে তিনি তার কর্মীদের ‘বোকা ডলফিন’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। ডেইলি বিস্টের খবরে উঠে এসেছিল, বিশাল তার এক শীর্ষ সহযোগীকে বিপুল অর্থ দেওয়ার বিষয়টি। এ নিয়েও গুঞ্জন কম হয়নি।
কেএএ/জিকেএস