বিনোদন

অভিনেত্রী শিমু হত্যাকারীর ফাঁসি চাইলেন বাবা

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকারীর ফাঁসি চেয়েছেন তার বাবা নুরুল ইসলাম রাঢ়ী। তিনি বলেন, আমার মেয়েটাকে অনেক আদর-স্নেহ দিয়ে বড় করেছি। সেই মেয়েটাকে ওরা মেরে ফেলেছে। আমি আর কিছু চাই না শুধু আমার মেয়েটাকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।

Advertisement

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকা থেকে জাগো নিউজকে একথা বলেন নিহত শিমুর বাবা নুরুল ইসলাম। কথা বলার এক পর্যায়ে হাউমাউ করে কেঁদে দেন তিনি।

ঢাকায় খুন হওয়া চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু বরগুনার আমতলী উপজেলার মেয়ে। বাবা নুরুল ইসলাম রাঢ়ী সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য (মেম্বার)। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ১০টায় ছেলেদের ফোন পেয়ে এবং টেলিভিশনের খবরে জানতে পারেন তার মেয়ে শিমু খুন হয়েছেন।

ওই রাতেই তিনি আমতলী থেকে ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে কোনো যানবাহন না পেয়ে পরেরদিন খুব সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন নুরুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।

Advertisement

ঢাকাই ছবির নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর গ্রামের বাড়ি বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে। তার নানাবাড়ি একই উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামে।

১৯৯৫ সালে শিমুর বাবা নুরুল ইসলাম রাঢ়ী গ্রামের বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী, দুই ছেলে হারুন অর রশিদ ও সাইদুল ইসলাম খোকন এবং দুই মেয়ে রাইমা ইসলাম শিমু ও ফাতেমাকে নিয়ে আমতলী পৌরশহরের ফেরিঘাটের সবুজবাগ এলাকায় বসবাস শুরু করেন। শিমু তখন আমতলী এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতিমনা ছিলেন শিমু। অভিনয়, নাচ ও গানের প্রতি ছিল তার অনেক ঝোঁক। আমতলীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। তার অভিনয়, নাচ ও গানের প্রশংসা ছিল মানুষের মুখে মুখে।

পারিবারিক কারণে ১৯৯৬ সালে শিমুর মা রাশেদা বেগম তার সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় চলে যান। সেখানে বসবাসের সময় পরিচয় হয় চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াতের সঙ্গে। তার হাত ধরেই ১৯৯৮ সালে চিত্রজগতে পা রাখেন রাইমা ইসলাম শিমু।

Advertisement

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বস্তাবন্দি অভিনেত্রী শিমুর মরদেহ উদ্ধার করে- কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। এরপর আটক করা হয় স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেলসহ দুজনকে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন নোবেল। হত্যার কারণ হিসেবে তিনি পারিবারিক কলহের কথা- জানিয়েছেন।

এসআর/জিকেএস