প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’র প্রভাবে দেশে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৯ হাজার ৫০০ জন। শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ।
Advertisement
এ নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৯৪ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৮ হাজার ১৭৬ জন। এর আগের দিন (১৭ জানুয়ারি) আট হাজারের বেশি শনাক্ত ও ১০ জনের মৃত্যু হয়।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ৫৭৩টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৭ হাজার ৮৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয় সাড়ে ৯ হাজার জন। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। দৈনিক শনাক্তের হারে গত বছরের ১৩ আগস্টের পর এটি সর্বোচ্চ। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
Advertisement
এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ ৬৬ হাজার ২৮৯টি। এতে শনাক্ত হন ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৯৪ জন। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও বাকি ২ জন নারী। মৃতদের বিভাগওয়ারি হিসাবে, ঢাকা বিভাগে ৮ জন, চট্টগ্রামে ২ জন এবং রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ৪৭৩ জন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৮ জন।
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং এর ১০ দিন পর করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়।
Advertisement
এমইউ/এআরএ/জিকেএস