তথ্যপ্রযুক্তি

‘আই অ্যাম নট আ রোবট’ কেন জানতে চাওয়া হয়?

যে কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকলে অথবা কোনো ছবি ডাউনলোড করতে চাইছেন। এমন সময় আপনাকে দেখানো হলো ‘I am not a Robot’। সেখানে টিক মার্ক করলেই কম্পিউটার স্ক্রিনে ফুটে উঠল একাধিক ছবি। এবার আপনাকে সেখান থেকে চয়েস করতে হবে ব্রিজ অথবা গাড়ি অথবা ট্রাফিক লাইট।

Advertisement

সঠিকভাবে সবগুলো চয়েস করতে পারলেই আপনার কাজের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু এমনটা কেন করতে হয় জানেন কি?এই পুরো বিষয়টি হল ক্যাপচা (Captcha)। CAPTCHA-এর পুরো কথাটি হল (Completely Automated Public Turing test to tell Computers and Humans Apart)।

ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অথচ এই ক্যাপচার সঙ্গে পরিচিত নয় এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিনই বটে! মূলত Human User (মানব ইন্টারনেট ব্যবহারকারী) এবং Automated User (স্বয়ংক্রিয় ব্যবহারকারী) এর মধ্যে পার্থক্য করাই এর কাজ।

এতে বোঝা যায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি যে কাজটি করতে চলেছেন সেটা সত্যিই কি কোনো মানব ব্যবহারকারী করছে নাকি কোনো রোবোটিক ব্যবহারকারী সেই কাজ করছে তা বোঝা যাবে। ক্যাপচায় বিভিন্ন ছবি অথবা বিভিন্ন অক্ষর দেওয়া থাকে। সেগুলো সাধারণভাবে রোবট রিড করতে পারে না। ফলে সেগুলো দেখে ক্যাপচা কোডের মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইট বুঝতে পারে যে ব্যবহারকারী মানব কেউ নাকি রোবট।

Advertisement

সাধারণত ব্লগ ও ফোরামগুলোতে স্প্যাম কমেন্ট ঠেকানো, অবৈধ অ্যাকাউন্ট তৈরি ঠেকানো এবং পোলের যথার্থতা বজায় রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে ক্যাপচা ব্যবহার করা হয়।

বর্তমানে ক্যাপচা তৈরির জন্য বিশ্বের সবথেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে Google এর। তবে ২০১৪ সালে এখানে একটি জটিল সমস্যা তৈরি হয়। গুগল দেখতে পায় সেসময় সবথেকে জটিল যে ক্যাপচাগুলো ছিল সেগুলোর মধ্যে তাদের মেশিন লার্নিং অ্যালগোরিদম ৯৯.৮ শতাংশ সফল।

তবে সাধারণ মানুষে মাত্র ৩৩ শতাংশ সঠিকভাবে তা সম্পন্ন করতে পেরেছিল। এজন্য গুগলের তরফে আরও একটি নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়। যার নাম দেওয়া হয় নোক্যাপচা রিক্যাপচা। এই পদ্ধতিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ডেটা ও আচরণ পর্যবেক্ষণ করে মেশিন। তার ভিত্তিতে কিছু ব্যবহারকারীকে ‘আই অ্যাম নট আ রোবট’ এবং কিছু ব্যবহারকারীর জন্য ছবি পরীক্ষা করতে দেয়।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Advertisement

কেএসকে/এএসএম