নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচনের পরাজিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি প্রথম বলেছিলাম ইভিএম একটা চুরির বাক্স। এখন বলবো এটা ডাকাতির বাক্স। প্রত্যেক রাজনীতিবিদকে অনুরোধ করছি তারা যেন ইভিএমের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) গ্রেফতার কর্মীদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি কারাগারের বাইরে থাকা কারাবন্দিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। একই সঙ্গে তাদের সব খরচ বহন করাসহ জামিনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচনে অলিখিতভাবে চিফ এজেন্ট ছিলেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম। এই জায়েদুল আলম ইঞ্জিনিয়ারিং করে ২৮ ডিসেম্বর থেকে ইলেকশনের রাত পর্যন্ত আমার লোকগুলোকে গ্রেফতার করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন।
তৈমূর বলেন, আমি এখানে আসার পর জানতে পারলাম আমার আরেক কর্মীকে মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পর গ্রেফতার করেছিল। তার পরিবারকে মুখ খুলতে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছিল। এভাবে আমার প্রতিটি কর্মীর বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছে, তাদের গ্রেফতার করেছে, আমার বাড়ির কর্মচারীদের পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে।
Advertisement
১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার মেয়র প্রার্থী হন। এতে পরাজিত হন তৈমূর আলম খন্দকার। ১৯২ কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে নৌকা প্রতিকে আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট। হাতি প্রতীকে তৈমূর পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসজে/এএসএম