দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করা অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু। ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় রাইমা ইসলাম শিমুর। এরপর একে একে অভিনয় করেছেন ১৮টিরও বেশি সিনেমায়। কাজ করেছেন বহু নাটকে।
Advertisement
অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের অনেক গুনী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন শিমু। সে তালিকায় আছেন মরহুম চাষী নজরুল ইসলাম, পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এ জে রানা, শরিফুদ্দিন খান দ্বীপু, এনায়েত করিম, শবনম পারভীন। অভিনয় করেছেন রিয়াজ, অমিত হাসান, বাপ্পারাজ, জাহিদ হাসান, মোশারফ করিম, শাকিব খানসহ অনেক গুণী ও জনপ্রিয় অভিনেতাদের বিপরীতে।
এমন একজন পরিচিত ও জনপ্রিয় শিল্পীকে মিশা-জায়েদ প্যানেল কমিটির ক্ষমতা নিয়েই সমিতি ভোটাধিকার থেকে বাতিল করা হয়। কোন অযোগ্যতায় তিনি শিল্পী সমিতির স্থায়ী সদস্যপদ হারিয়েছিলেন? সেই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে গতকাল রাতে শিমুর মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই। তবে সদুত্তর মিলছে না কোথাও।
Advertisement
এ বিষয়ে জানতে আজ ১৮ জানুয়ারি ১২টার দিকে সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার সাড়া মেলেনি। তবে এ বিষয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন বিদায়ী কমিটির সভাপাতি জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ‘প্রথমেই আমি শোক প্রকাশ করছি শিমুর মৃত্যুতে। তিনি অনেকদিন ধরেই চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তবে শিল্পী সমিতির সংবিধানের বিধি মেনেই তার সদস্যপদে পরিবর্তন আনা হয়েছিল।’
কি সেই বিধি? উত্তরে মিশা বলেন, ‘টানা দুই বছর কোনো শিল্পী চলচ্চিত্রে কাজ না করলে তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়, স্থায়ী সদস্য থেকে সহযোগী সদস্য করা হয়। শিমুর সদস্যপদও কিন্তু স্থগিত করা হয়নি। তাকে সহযোগী করা হয়েছে।’
কিন্তু সমিতিতে বর্তমানেও এমন অনেক শিল্পী আছেন যারা গেল ৫ বছরেও কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি, কিংবা আরও বেশি সময়কাল ধরেই তারা অনিয়মিত। এমনকি এবারের নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেলের প্রার্থীও আছেন কেউ কেউ যারা গেল ২ বছরে কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করেননি। তবে আইন শুধু ‘জ্বামাই শ্বশুর’র মতো সুপারহিট সিনেমার নায়িকা শিমুর বেলাতেই কঠিন হলো কেন? এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি মিশা সওদাগর।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে বাদ পড়া ১৮৪ জন সদস্যদের একজন। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে তিনি ছিলেন সক্রিয়।
Advertisement
এদিকে শিমুর করুণ মৃত্যুতে চলচ্চিত্রে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্রপাড়ায়। শিমুর খুনের সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা।
এলএ/জেআইএম