মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও দিগন্ত টেলিভিশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আসামির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামির আইনজীবী ৬ সপ্তাহের জন্য মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানি পিছানোর আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে চার সপ্তাহের জন্য তা মঞ্জুর করেন। ফলে আগামী ২ জানুয়ারি মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। এর আগে গত ২৮ মে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মীর কাশেম আলীল আপিলের মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে আদালত আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের সার সংক্ষেপ দাখিলের জন্য আরো চার সপ্তাহের সময় দেন।ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মীর কসেম আলীর পক্ষে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়। আপিলে মীর কাশেম আলীর পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন।পরে আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির জানায়, `মীর কাশেম আলীর পক্ষে ১৮১টি গ্রাউন্ডে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে এ আপিল করা হয়েছে। দেড়শ’ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ৫ ভলিয়মে ১ হাজার ৭৫০ পৃষ্ঠায় বিভিন্ন ডকুমেন্ট পেশ করা হয়েছে।`একই বছরের ২ নভেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশন আনীত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলী দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। তবে ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে এসব অভিযোগ থেকে খালাস (অব্যাহতি) দেয়া হয়।মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাশেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।এফএইচ/জেডএইচ/পিআর
Advertisement