আইন-আদালত

পরিশ্রম সফল হলো : তুরিন আফরোজ

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। বুধবার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তুরিন আফরোজ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করে আসছি। এ রায়ের মধ্য দিয়ে পরিশ্রম সফল হলো।  তিনি আরো বলেন, দেশে বিচার হীনতার যে সংস্কৃতি ছিল সেখান থেকে বেরিয়ে আসছে। স্বাধীনতার যুদ্ধকে নিজামী ধর্মযুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করেছিল। দেশকে মেধাশুন্য করতে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা হয়েছে। পাবনায় যুদ্ধাপরাধের কমপক্ষে ৩টি প্রত্যক্ষ ঘটনায় তিনি জড়িত। তবে আদালত ৮টি অভিযোগের মধ্যে ৫টি গ্রহণ করেছে। ৩টিতে ফাঁসি ও ২ টিতে যাবজ্জীবন বহাল রেখেছে।  তুরিন বলেন, ব্যক্তির অপরাধের বিচার হচ্ছে। দলগতভাবে জামায়াতও যে একই ধরণের আদর্শিক। সে কারণে জামায়াতের বিচারও হবে।  মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর আপিলের চূড়ান্ত রায়েও ফাঁসি বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত। বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। রায় ঘোষণার সময় নিজামীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এসএম শাহজাহান, মো. শিশির মনির ও নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমিনসহ জামায়াতে ইসলামীর অর্ধশতাধিক আইনজীবী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মামতাজ উদ্দিন ফকির ও মুরাদ রেজা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থার প্রধানসহ অন্যান্যরা। এছাড়াও দেশি- বিদেশি মডিয়ার শতাধিক সংবাদ কর্মী নিজামীর রায়ের খবর সংগ্রহ করার জন্য আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।এখানে উল্লেখ্য যে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আপিল বিভাগের ষষ্ঠ এবং বাংলাদেশের সাবেক কোন মন্ত্রী পরিষদের তৃতীয় কোন মন্ত্রী দণ্ড পেলেন। এর আগে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। জেইউ/এএইচ/পিআর

Advertisement