ফিচার

কেটলি বাড়ি

টেক্সাসের গ্যালভেস্টন অঞ্চলটি এমনিতেই ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা। এজন্য সেখানকার বাসিন্দারা বাড়ি বানাতে লোহা বা নানারকম ধাতুর ব্যবহার করে থাকেন।২০০৯ সালে ‘ইকে’ নামে এক হ্যারিকেনে একটি বাড়ি ছাড়া ওই অঞ্চলের প্রায় সব বাড়িঘর উড়ে গিয়েছিল। প্রলয়ঙ্করী এ ঝড় সামলে টিকে যায় গ্যালভেস্টনের ‘কেটলি বাড়ি’। টেক্সাসে সবাই এটিকে ‘হাউজ অব কেটল হাউজ’ নামেই চেনে।শুধু ইকে হ্যারিকেনই নয়, অসংখ্য ঝড়-ঝাপটা জয় করে গত ৫০ বছর ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে কেটল হাউজ। গ্যালভেস্টনের বাস্তবতায় এটা বিরাট ব্যাপার! স্থপতিদের ধারণা, হতে পারে গোলাকারাকৃতির কারণে সহজেই ঝড়ো বাতাসকে পরাস্ত করতে পারে কেটল হাউজ।একটি তেল কোম্পানির সংরক্ষণ ট্যাংক হিসেবে এক ভদ্রলোক এটি বানিয়েছিলেন। বানানোর সময় তাকে দেখা গেলেও, তার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি বলে মত স্থানীয় বয়‍ঃজ্যেষ্ঠদের।টেক্সাসের স্থানীয় ঐতিহ্য ও কৃষ্টি-কালচারের লগবুক হিসেবে পরিচিত ‘উইয়ার্ড টেক্সাস: ইয়োর ট্রাভেল গাইড ‍টু টেক্সাস’স লোকাল লেজেন্ডস অ্যান্ড বেস্ট কেপ্ট সেক্রেট’ বইতে স্থান পেয়েছে কেটল হাউজ।

Advertisement