ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে গরু ও হাঁসের খামার। খামারের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে আশপাশের এলাকা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম খান এ খামার গড়ে তুলেছেন।
Advertisement
সম্প্রতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কোয়ার্টারের পাশেই একটি গরুর খামার করেছেন ডা. মনিরুল ইসলাম। সেখানে আটটি গরু রয়েছে। এর পাশেই রয়েছে হাঁসের খামার।
গরু ও হাঁসের খামারটি নিজের বলে স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম খান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘শৌখিনতার বসে খামার দুটি গড়ে তুলেছি। অবসর সময়ে সেগুলো দেখাশোনা করি। এতে যদি কোনো বিধিনিষেধ থাকে তাহলে খামার তুলে (সরিয়ে) ফেলবো।’
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এর ১৭ নম্বর ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের অনুমোদন ছাড়া, সরকারি কাজ ছাড়া অন্য কোনো ব্যবসায় জড়িত হতে পারবেন না। অন্য কোনো চাকরি বা কাজ গ্রহণ করতে পারবেন না। পরিবারের সদস্য অর্থাৎ স্ত্রী-সন্তানরাও ব্যবসা করতে পারবেন না। সরকারের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া একজন সরকারি কর্মচারী তার এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় নিজের পরিবারের কোনো সদস্যকে কোনো ধরনের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার বিষয়ে অনুমতি দিতে পারবেন না।
Advertisement
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ জাগো নিউজকে, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তানভীর হাসান তানু/এসআর/জেআইএম