দেশজুড়ে

৩১০ কোটি টাকার প্রকল্পের খবরে ভোলায় আনন্দ মিছিল

ভোলা জেলা সদরকে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষায় অবশেষে মঙ্গলবার ৩১০ কোটি টাকার সিসি ব্লক স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ ও টেন্ডার আহ্বান করায় এলাকার লক্ষাধিক মানুষ প্রধানমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও পানিসম্পদমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।এমন খুশির খবরে আনন্দ উল্লাসের সময় অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলে এমন আনন্দ প্রকাশ। এলাকার সর্বস্তরের মানুষ এতে যোগ দেয়।গত ৬ মাসে নদী ভাঙনের মুখে নিঃস্ব হয়ে পড়েন এলাকার শত শত পরিবার। হুমকির মুখে পড়ে জেলা শহরও। বর্ষার আগে কাজ শুরু না হলে ভোলা জেলা সদর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার আশঙ্কায় পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জরুরি ভিত্তিতে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য টেন্ডার আহ্বান করার নির্দেশ দেন পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। নির্দেশ পেয়েই ৩ ঘণ্টার মধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয় বলে জানান ভোলার পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম।এদিকে ভোলা রক্ষায় টেন্ডার আহ্বানের সংবাদ পেয়েই ওই এলাকার শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। একই সঙ্গে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে থাকে।ভাঙন ঠেকানোর দাবিতে গত ৬ মাস ধরে উত্তর ভোলা বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে  মানববন্ধন, সমাবেশ, ঘেরাও, অনশন, ঢাকায় অবস্থানসহ টানা আন্দোলন অব্যাহত ছিল। গত বছরের ২৫ জুলাই থেকে হঠাৎ করেই ওই অঞ্চলে ভাঙন দেখা দেয়।  ভয়াবহ ভাঙনে ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের দুই কিলোমিটার পাকা রাস্তা, তিন কিলোমিটার এলাকার স্কুল, মাদরাসাসহ প্রায় ৫ হাজার ঘরবাড়ি মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে। ফেরিঘাট বিলীন হয়েছে তিন দফা।এ অবস্থা সরেজমিনে দেখতে যান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। গত মাসে পাউবো মহাপরিচালক এলাকা পরিদর্শন করেন। এদিকে এমান ভয়াবহ ভাঙনের কারণে গ্যাসের মুজদ সমৃদ্ধ ভোলা জেলায় শিল্পায়নে বিনিয়োগের কাজও থমকে যায়। ফলে ভোলা রক্ষা অতি জরুরি হয়ে পড়ে। সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকার ভাঙন স্থায়ীভাবে ঠেকাতেই ৩১০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে পাউবো। গত মাসেই ওই প্রকল্প একনেকের সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল।এদিকে এলাকায় আনন্দ সমাবেশে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, ভোলা রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক সায়েদ আলী, অাওয়ামী লীগ সম্পাদক সরোয়ারদী মাস্টার, আব্দুল মান্নান, আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা স্বার্থ রক্ষা উন্নয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।অমিতাভ অপু/বিএ

Advertisement