করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে জার্মানি জুড়ে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দেশটিতে ৯২ হাজার ২২৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। পরদিন শুক্রবার শনাক্ত হয় ৭৮ হাজার ২২ জন। যাদের ৭৩ শতাংশই করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে জার্মানির সংক্রামক রোগ বিষয়ক কেন্দ্র রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট। এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দেশব্যাপী বিভিন্ন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জার্মান সরকার।
Advertisement
বর্তমানে সব প্রকার রেস্টুরেন্ট এবং বারে প্রবেশ করতে টু-জি প্লাস নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ করোনার পূর্ণ ডোজ টিকা দেওয়া অথবা তিন মাসের মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে এমন রিপোর্ট থাকলেই কেবল রেস্টুরেন্ট এবং বারে প্রবেশাধিকার মিলবে। তবে টিকার তৃতীয় অর্থাৎ বুস্টার ডোজ দেওয়া থাকলে টেস্ট করতে হবে না। টিকা দেওয়া ১০ জনের বেশি এবং টিকা গ্রহণ ছাড়া এক পরিবারের সঙ্গে অন্য পরিবারের সর্বোচ্চ দুইজনের বেশি একত্রিত হওয়া যাবে না। এছাড়াও সারা দেশে নাইট ক্লাব, ডিসকো বার বন্ধ রয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও বিরাজ করছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। বেশ কয়েকটি পরিবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ৭২ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ করোনার টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন। বুস্টার অর্থাৎ তৃতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৪৫ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। এখনো যারা টিকা নেননি তাদেরকে করোনার টিকা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। জার্মানিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৯ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ১৬ হাজার ২০০ জন।
Advertisement
কেএসআর/