সিলেটে করোনা চিকিৎসায় ডেডিকেটেড শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে সাধারণ রোগীদেরও চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে বহির্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে।
Advertisement
প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৮০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া ফেব্রুয়ারি থেকেj হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের ভর্তি করে চিকিৎসাসেবারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালের এপ্রিলে সিলেটে করোনা শনাক্তের পর থেকেই শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে করোনা আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণা করে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রায় দুবছর শুধু করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রোগীদের চাপ বেশি থাকায় বাধ্য হয়ে ধারণক্ষমতার বেশি রোগীদেরও চিকিৎসা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে সম্প্রতি সিলেটে করোনা আক্রান্ত রোগী কমে যাওয়াতে শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে প্রায় ৮০ ভাগ শয্যাই ফাঁকা থাকছে। ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনার বাইরে অন্য রোগীদেরও ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
Advertisement
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১ জানুয়ারি থেকে বহির্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে। হাসপাতালে ১০০ শয্যা থাকলেও বর্তমানে মাত্র আটজন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে পাঁচজনই আছেন আইসিইউতে। ফলে হাসপাতালে ৯২টি শয্যাই খালি রয়েছে।
এ বিষয়ে শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সিলেটে করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দিনদিন কমছে। তাই আমরা হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি করে রোগীদের চিকিৎসা শুরুর পরিকল্পনা করেছি। সিলেটে করোনা পরিস্থিতির অবনতি না হলে ফেব্রুয়ারির শুরুতে সবাই ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, তবে করোনা চিকিৎসার জন্য শুধু ৪৫ শয্যা রাখা হবে। বাকি ৫৫ শয্যায় অন্য রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। তখন শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল আর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল থাকবে না।
ছামির মাহমুদ/এসজে/জেআইএম
Advertisement