ক্যারিয়ারে ২০১৫ সালটা ভুলে থাকতে চাইবেন হাশিম আমলা। পুরো বছরে তার ব্যাট চোখ মেলেও যেন তাকানোর সুযোগ পায়নি। তবে, ২০১৬ সালটা কেমন যায় তা এখনই বলা যাচ্ছে না। যদি ‘সকালের সূর্য পুরো দিনের বার্তা দিয়ে থাকে’- তাহলে বলতে হবে- এই বছর দারুন কিছু নিয়েই হাজির হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক হাশিম আমলার সামনে। কারণ বছরের প্রথম টেস্টটাই তিনি উদযাপন করলেন ডাবল সেঞ্চুরি দিয়ে। কেপটাউন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ৬২৯ রানের পাহাড়সম রানের নীচে চাপা পড়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেনে তোলার মূল দায়িত্বটাই কাঁধে তুলে নিলেন অধিনায়ক। মাত্র ৭ রানে স্টিয়ান ফন জিল আউট হয়ে প্রোটিয়াদের মহাবিপদে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু হাশিম আমলা আর ডিন এলগার মিলে ৭৮ রানের জুটি গড়ে ইংলিশদের জবাব দেয়া শুরু। এরপর ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে ১৮৩ রানের জুটি গড়েন আমলা। দক্ষিণ আফ্রিকার মারকুটে ব্যাটসম্যান ডি ভিলিয়ার্স সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন মাত্র ১২ রানের জন্য। ৮৮ রান করে তিনি আউট হয়ে গেলেও অপরপ্রান্তে ব্যাট করে যাচ্ছিলেন আমলা। ততক্ষণে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান তিনি। টেস্ট এবং ওয়ানডে মিলিয়ে ১৮ ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ডু প্লেসিসকে নিয়ে গড়েন ১৭১ রানের জুটি। মোটামুটি এই তিনটি বড় জুটিতেই ইংল্যান্ডের সামনে ফলোঅন বাঁচিয়ে তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। একই সঙ্গে টেস্টকে নিয়ে যাচ্ছে নিষ্প্রাণ ড্রয়ের দিকে। সবচেয়ে বড় কথা, বাজে একটি বছর কাটানোর পর নতুন বছরের শুরুতেই আমলার ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়া। ৪৭৭ বল খেলে ৭০৭ মিনিট ক্রিজে থেকে ২০১ রান করার পর অবশেষে আউট হন আমলা। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২৭টি বাউন্ডারিতে। একটাও ছক্কার মার নেই। তিনি যখন আউট হন তখন দলীয় রান ৪৩৯।এ নিয়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করলেন। আর ২০০’র ওপর রান করলেন চারবার। একটি যে পার হয়েছে ত্রিপল সেঞ্চুরির মাইলফলক। ৩১১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি ওই ইনিংসে। একই সঙ্গে ডাবল সেঞ্চুরি করে সাত হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন আমলা। ৯০ টেস্টে এ নিয়ে ৭ হাজার ১০৮ রান করলেন তিনি। আমলা আউট হওয়ার পরপরই অবশ্য আউট হয়ে যান ডু প্লেসিসও। দলীয় ৪৩৯ রানেই। ২১৬ বল খেলে ৮৬ রান করেন প্লেসিস। দলীয় সংগ্রহে আর ১০ রান যোগ করে আউট হয়ে যান কুইন্টন ডি ককও। এ রিপোর্ট লেখার সময় প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১৭৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫০৫। উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে রয়েছেন টেম্বা ভাবুমা এবং ২১ রান নিয়ে রয়েছেন ক্রিস মরিস। এখনও ইংল্যান্ডের চেয়ে ১২৪ রান পিছিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। আইএইচএস/এমএস
Advertisement