হোস নামের এই বিশাল হেয়ারবলটি তৈরি করেছেন স্টিভ ওয়ার্ডেন নামের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন হেয়ার স্টাইলিস্ট। তার সেলুনে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসেন চুল কাটাতে। এসব অনেক বাড়তি কাটা চুলগুলো স্টিভ ফেলে দিতেন। তবে তার ছেলের পরামর্শে বল বানাতে শুরু করেন।
Advertisement
স্টিভ তার সেলুনের পাশেই আরেকটি কক্ষে এই বলটি বানানোর জন্য স্টুডিও তৈরি করেন। হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে বিভিন্ন ধরনের আঠা কিনে এনে চুলের বল্টি বানাতে শুরু করেন। স্টিভ এই বলটির নাম দেন হোস। তিনি তার বাড়ি এবং সেলুনের বাইরে একটি নোট টানিয়ে দেন। সেখানে লিখে দেন আপনারা আপনাদের ফেলে দেওয়া চুল দান করুন।
অনেকেই স্টিভের এই বলের জন্য চুল দান করেছেন। হোস নামের বলটির ওজন এখন ১০২.১২ কেজি (২২৫.১৩ পাউন্ড)। কিংবা বলা যায়, ৩০০ ক্যান স্যুপ বা ১৫টি বোলিং বলের সমান। এটি গিনেস বুকে এরইমধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু রেকর্ডের স্বীকৃতির। গিনেস কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে হোসের মাপ নিয়েছেন।
হোস মানুষের চুলের তৈরি বৃহত্তম বলের রেকর্ড ভাঙতে সক্ষম হয়েছে। এর আগেও এমন রেকর্ড রয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। যেটি ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে রেকর্ডটি ধরে রেখেছিল। সেই রেকর্ডটি করেন নাপিত হেনরি কফার। তিনি ২০১৪ সালের ২ মার্চ মারা যান। তার তৈরি বল্টির ওজন ছিল ৭৫.৭ কেজি (১৬৭ পাউন্ড)। উচ্চতা ৪ ফুট (১.২ মিটার) এবং একটি ১৪ ফুট (৪.২৬মি) পরিধি ছিল।
Advertisement
৫০ বছরেরও বেশি সময় হেনরি নাপিতের কাজ করেছেন। সেওসময় তিনি কেটে ফেলা চুল সংগ্রহ করতেন এবং একটি ব্যাগে সংরক্ষণ করতেন। অনেকদিন একসঙ্গে থাকতে থাকতে চুলগুলো একসঙ্গে লেগে বলের মতো হয়ে যেত। যা দেখেই তার মাথায় এই বল তৈরির ভাবনা আসে।
স্টিভ তার সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে হোসের ছবি পোস্ট করেন। সেখানে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে প্রসংশা পেয়েছেন তিনি। এমনকি দূর দুরান্ত থেকে মানুষ আসছে হোস দেখার জন্য। ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর হোস গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডটি করে।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস
কেএসকে/এএসএম
Advertisement