আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের আরও ফ্লাইট বাতিল করলো চীন, ক্ষুব্ধ বাইডেন প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রফেরত যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার জেরে চীন একের পর এক ফ্লাইট বাতিল করায় ক্ষেপেছে বাইডেন প্রশাসন। বুধবার (১২ জানুয়ারি) নতুন করে আরও ছয়টি মার্কিন ফ্লাইট বাতিল করেছে বেইজিং। এটি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চুক্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে ওয়াশিংটন। খবর রয়টার্সের।

Advertisement

মার্কিন পরিবহন দপ্তরের (ইউএসডিওটি) এক মুখপাত্র বলেছেন, বেইজিংয়ের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র-চীন এয়ার ট্রান্সপোর্ট চুক্তির বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমরা চীনা সরকারের সঙ্গে কথা বলছি। আমাদের এ বিষয়ে নীতিগত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে।

সম্প্রতি চীনে যুক্তরাষ্ট্রফেরত যাত্রীদের মধ্যে করোনা শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় গত বুধবার নতুন করে আরও ছয়টি ফ্লাইট বাতিল করে বেইজিং। এ নিয়ে চলতি বছরে এ পর্যন্ত অন্তত ৭০টি ফ্লাইট বাতিল করলো তারা।

চীনের সবশেষে ঘোষণায় বাতিল করা হয়েছে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের সান ফ্রান্সিসকো থেকে সাংহাইগামী দুটি এবং চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনসের লস অ্যাঞ্জেলস থেকে গুয়াংঝুগামী চারটি ফ্লাইট।

Advertisement

এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইউনাইটেড, ডেল্টা, আমেরিকান এয়ারলাইনসসহ আরও কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্যিক সংগঠন ‘এয়ারলাইনস ফর আমেরিকা’ বলেছে, ভ্রমণকারীদের ওপর বিধিনিষেধের প্রভাব কমানোর বিষয়ে মার্কিন এয়ারলাইনগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে।

আকাশ পরিবহনসেবা নিয়ে বেইজিং-ওয়াশিংটনের বিরোধের শুরু মূলত করোনাভাইরাস মহামারির প্রথম থেকেই। সবশেষ ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ও চীনের চারটি এয়ারলাইন প্রতি সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছিল। মহামারির আগে এর সংখ্যা ছিল ১০০টিরও বেশি।

চীন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য দেশগুলোর ফ্লাইটও বাতিল করেছে। বুধবারই ফ্রান্স ও কানাডার অন্তত ছয়টি ফ্লাইট এ তালিকায় নাম লিখিয়েছে।

Advertisement

ওমিক্রন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ডিসেম্বর থেকে মার্কিন ফ্লাইট বাতিলের হার বেড়ে যায়। সংক্রমণ ঠেকাতে ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে চীন। চীনা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএসি) গত সেপ্টেম্বরে ঘোষণা দিয়েছিল, প্রতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যা ২০০টিতে নামিয়ে আনা হচ্ছে, যা মহামারি-পূর্ব সময়ের তুলনা মাত্র ২ শতাংশ।

কেএএ/জেআইএম