সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে যে খবর প্রচার হয়েছে তা বিএনপি নেতাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তবে তারাও এ নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হারিছ চৌধুরীর একসময়ের সহকর্মী মহিউদ্দিন খান মোহন জাগো নিউজকে বলেন, আমি আজ গণমাধ্যমে দেখলাম হারিছ ভাই মারা গেছেন। বিষয়টি আমি নিজেও কনফার্ম না। সর্বশক্তিমান আল্লাহই ভালো জানেন। হারিছ ভাই যদি মারা গিয়ে থাকেন, আল্লাহ যেন তার দোষ ত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাত দান করেন।
ওয়ান/ইলেভেনের পর থেকে হারিছ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ১/১১’র সময় উনি আসামের করিমগঞ্জে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে উনার কোনো খোঁজ নেই। আমি মনে করি রাজনীতিকদের হিসাব করে চলা উচিত। এমন কিছু করা উচিত না যে তাদের ইতিহাস থেকে, দৃশ্যপট থেকে ছিটকে পড়তে না হয়। হারিছ চৌধুরী একজন দাপুটে রাজনীতিক ছিলেন। তিনি যেভাবে দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে গেলেন তা খুব দুঃখজনক। রাজনীতিকদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানেন না বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানও জানান।
Advertisement
এদিকে সিলেট বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওযাত হোসেন জীবন বলেন, খরবটি আমি প্রায় চার মাস আগেই শুনেছিলাম। তখন গুজব মনে করে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। তবে আভাস যা পাচ্ছি, মনে হচ্ছে সত্যি কোনো অঘটন ঘটেছে।
হারিছ চৌধুরী লন্ডনে নাকি বাংলাদেশে মারা গেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লন্ডনে’।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি নিজেও এ বিষয়ে নিশ্চিত না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে, দেখেছি।’
এনিয়ে স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, খবরটি সত্যি কি না জানি না। তবে সিলেটের স্থানীয় নেতারা সঠিকটা বলতে পারবেন।
Advertisement
সেলিমা রহমান বলেন, আমিও বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। দলের কেউই এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারছেন না।
কেএইচ/এমএইচআর/এএসএম