স্বাস্থ্য

‘পরীক্ষায় অনীহা অনেকের, সংক্রমণ আরও বেশি’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেছেন, উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করা জরুরি হলেও অনেকেই পরীক্ষা করাচ্ছেন না। পরীক্ষার পরিমাণ বেশি হলে রোগীর সংখ্যা ও সংক্রমণের হার আরও অনেক বেশি হতো।

Advertisement

তিনি বলেন, এক সপ্তাহে (৫ থেকে ১১ জানুয়ারি) শনাক্তের হার দ্বিগুণ হয়েছে। ৫ জানুয়ারি শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, সেখানে ১১ জানুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশে।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখানে সংক্রমণের উচ্চঝুঁকি, মধ্যম ঝুঁকি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়।

Advertisement

ডা. রোবেদ আমিন বলেন, গত ১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। এরপর থেকে সংক্রমণের হার ক্রমাগত বাড়ছে। কোনো নির্দিষ্ট ধারায় তা বৃদ্ধি পাচ্ছে না, যা খুবই আতঙ্কের বিষয়।

তিনি বলেন, জেলাভিত্তিক হিসাবে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর পরই রয়েছে চট্টগ্রাম, সেখানে ১ লাখ ১ হাজার ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রামেও শনাক্তের হার বাড়ছে। এরপর রয়েছে কুমিল্লা, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, খুলনা, ফরিদপুর, বগুড়া ও কক্সবাজার।

তিনি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে সংক্রমণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশেও সংক্রমণ বাড়ছে। হঠাৎ করে মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ধরে নিতে হবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে।

গত এক সপ্তাহে করোনা পরীক্ষা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ এই সময়ে দেড় লাখেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হিসাবে পূর্ববর্তী সপ্তাহের চেয়ে ৬ হাজারেরও বেশি (১৬৯ শতাংশের বেশি) রোগী শনাক্ত হয়েছে।

Advertisement

এমইউ/ইএ/এএসএম