ঝিনাইদহে হঠাৎ করেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত তিনদিনে জেলায় ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছে ১৫ জন। এদের সবাই ওমিক্রনে সংক্রমিত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
Advertisement
তাদের সবার শরীরে রয়েছে মৃদু মাথা ব্যথা, হালকা জ্বর, সঙ্গে গলা ব্যথা। তবে নেই তেমন শ্বাসকষ্ট।
আক্রান্তদের মধ্যে একজন সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর বাকিরা নিজ বাড়িতেই রয়েছেন।
বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায়ে ভারতীয় ধরন অর্থাৎ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে বেড়েছিল সংক্রমণ ও মৃত্যু। তবে ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার থেকে শুরু করে মানুষের সচেতনতায় তা অনেকটাই শান্ত হয়ে এসেছিল। বাংলাদেশেও মৃত্যু ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায়। কিন্তু সংক্রমণ ও মৃত্যু কমার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে একেবারেই কমে যায় স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। শহরে, হাট-বাজারে কোথাও দেখা মেলে না সচেতনতার বালাই। এমন পরিস্থিতিতে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে বাড়ছে সংক্রমণ, বাড়ছে মৃত্যু।
Advertisement
এর প্রেক্ষিতে ঝিনাইদহ জেলাতেও বাড়ছে সংক্রমণ। প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ জন করে আসছেন নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে করোনা পরীক্ষার জন্য।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. জাকির হোসেন জানান, গেল কয়েকদিনে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে একটি পরিবার ভারত থেকে এসেছে এবং বাকিদের ঢাকা, খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে। এদের সবার মধ্যে মৃদু জ্বর, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা রয়েছে। তবে নেই শ্বাসকষ্ট। এতে আমরা ধারণা করছি এটি বাইরের দেশের যে সংক্রমণ সেটি আমাদের বাংলাদেশে ও ঝিনাইদহে এসে গেছে। অর্থাৎ এটি ওমিক্রন হতে পারে বলে সন্দেহ করছি।
তিনি আরও জানান, আগের ধরনের মতই একই চিকিৎসা চলছে আক্রান্তদের। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো শিথিলতা দেখানো ঠিক হবে না। শিথিলতা যত বাড়বে ততোই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/জেডএইচ/
Advertisement