জাতীয়

দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, ধর্মান্ধ নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, ধর্মান্ধ নয়। তারা নাশকতাকে ঘৃণা করে। এজন্য মিডিয়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দান পরিদর্শনে এসে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।তিনি বলেন, দেশে অস্থির পরিবেশ তৈরির যে প্রচেষ্টা করা হচ্ছে এর পেছনে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদদের পছন্দ করে না, প্রশ্রয় দেয় না।তিনি বলেন, আমাদের এই জমায়েতটা সুন্দরভাবে হবে। ধর্মপ্রাণ মানুষ যারা আসবেন তারা জমায়েত শেষে আবার নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারবে। এজন্য প্রশাসন, পুলিশ সবাই তৈরি। বাইরে থেকে যেসব মেহমান আসবেন তারাও সুন্দরমতো বাড়ি ফিরে যেতে পারবে। আমি নির্ভরতার সঙ্গে জানাচ্ছি এ জমায়েত অবশ্যই সফল হবে।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, জঙ্গিবাদীরা যেন অপকর্ম করতে না পারে সেজন্য কঠোরভাবে কাজ চলছে। আগে সরকার ইজতেমার দায়িত্ব রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করেনি। শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে ইজতেমার দায়িত্ব পালন করছেন।এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লার রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মইনুল রহমান চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম, অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ইজতেমার নিরাপত্তার জন্য ৫ হাজার ফোর্স, ৬০টি সিসিটিভি, ৫টি ওয়াচ টাওয়ার, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং এই প্রথম বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সাদা পোশাকে পুলিশ টহল থাকবে। মঙ্গলবার থেকেই এ বাহিনীগুলো কাজ শুরু করেছে।পরে মন্ত্রীসহ অতিথিরা ইজতেমা মাঠের কার্যক্রম, বিদেশি মেহমানখানা, মূল বয়ান মঞ্চ ও সেবার বিভিন্ন খোঁজ খবর নেন। তিনি ইজতেমার আয়োজক মুরুব্বিদের সঙ্গেও কথা বলেন।                    আমিনুল ইসলাম/এসএস/আরআইপি

Advertisement