বুধবার (১২ জানুয়ারি) থেকে নতুন নিয়মে ট্রেনের টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ২৫ শতাংশ টিকিট অনলাইনে এবং ২৫ শতাংশ কাউন্টারে বিক্রি করা হবে। ১৫ জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
Advertisement
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৩ জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। সেক্ষেত্রে আসন সংখ্যার অর্ধেক (৫০ শতাংশ) যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (টিসি) মাে. নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী।
Advertisement
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করােনাভাইরাসজনিত রােগের (কোভিড-১৯) বিস্তাররােধে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরােপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপনে ট্রেন, বাস ও লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এমতাবস্থায় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার স্বার্থে শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে নিম্নবর্ণিত সংশােধনী আনা হয়েছে।
ক. যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আন্তঃনগর ট্রেনে বিদ্যমান আসনসংখ্যার অর্ধেক টিকিট বিক্রি;খ. আসনসংখ্যার অর্ধেক (অর্থাৎ মােট আসনসংখ্যার ২৫ শতাংশ) টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে এবং বাকি অর্ধেক আসনের (অর্থাৎ মােট আসনসংখ্যার ২৫ শতাংশ) টিকিট মােবাইল অ্যাপ/অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে;গ. আন্তঃনগর ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট ও স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম টিকিট ইস্যু সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে;ঘ. এর আগে রেল মন্ত্রণালয়ের অনুমােদিত ইমার্জেন্সি কোটা ও আন্তঃনগর ট্রেন ম্যানুয়াল অনুযায়ী পাস কোটা ছাড়া আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে বিদ্যমান সব প্রকার কোটা বাতিল করা হয়েছে;ঙ. কাউন্টারে টিকিট ও ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীর মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে;চ. প্রচলিত নিয়মানুযায়ী ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনপূর্বক আন্তঃনগর ট্রেনে ক্যাটারিংসেবা প্রদান ও ট্রেনে রাত্রিকালীন বেডিং সরবরাহ করতে হবে;
এসব সংশােধনী আগামী ১৫ জানুয়ারি (যাত্রার তারিখ বিবেচনায়) থেকে কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে সময়ে সময়ে জারিকৃত টিকিট ইস্যু এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে নিয়মাবলি অপরিবর্তিত থাকবে।
Advertisement
এমএমএ/বিএ/এমএস