আন্তর্জাতিক

কাজাখস্তানে বিক্ষোভ চলছেই, আটক ১০ হাজার

কাজাখস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও সহিসংতার জেরে এ পর্যন্ত নয় হাজার নয়শ জনকে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এ তথ্য।

Advertisement

সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশটিতে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভের জেরে কাজাখস্তানে সরকারের পতন ঘটে গত বুধবার (৫ জানুয়ারি)। প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ দেশটির প্রধানমন্ত্রীসহ পুরো মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেন। একই সঙ্গে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

সহিংসতার জেরে দেশজুড়ে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয় ইন্টারনেট সংযোগ। দেশটির স্বাধীনতার ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

৬ জানুয়ারি নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেখানে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্যারাট্রুপারসরা। কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে, ‘বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের’ নেতৃত্বে চলা বিক্ষোভ থামাতে তিনি সিএসটিও-ভুক্ত (কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন) দেশগুলোর কাছে সহায়তা চান। এর পরই প্রতিবেশী দেশে সৈন্য পাঠানোর পদক্ষেপ নেয় রাশিয়া। সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দেশ রাশিয়া, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তানের মধ্যকার একটি সামরিক চুক্তি হচ্ছে সিএসটিও।

Advertisement

এদিকে, দেশটিতে রাশিয়ান সেনাদের উপস্থিতির ব্যাপক সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে কেন রাশিয়ার সামরিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্টনি ব্লিনকেন সতর্ক করে বলেন, যদি রাশিয়ানদের আপনি আপনার ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি দেন তবে তাদের তাড়ানো কঠিন বিষয়।

তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয় কাজাখ কর্তৃপক্ষ এবং সরকার বিক্ষোভ মোকাবিলায় সক্ষম। তারপরেও তাদের কেন বাইরের সহায়তা প্রয়োজন সেটা পরিষ্কার নয়।

সূত্র: রয়টার্স

এসএনআর/জেআইএম

Advertisement