অ্যাকজিমার সমস্যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এ সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এটি এক ধরনের চর্মরোগ। যা বিরল সমস্যা। অনেকেই মনে করেন অ্যাকজিমা বংশোদ্ভুত একটি রোগ! সহজেই এটি সারানো যায় না! এসব একেবারেই ভুল ধারণা।
Advertisement
এ বিষয়ে মার্কিন চিকিৎসক মার্ক হেইমন জনান, অ্যাকজিমা আসলে এক ধরনের রোগ, যা শরীরে অতিরিক্ত প্রদাহ সৃষ্টির কারণে হয়ে থাকে। এটি শুধু ত্বকের সঙ্গেই সম্পর্কিত নয়। বরং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
অনেকের শরীর প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বেশি গরম থাকে, তাদের ক্ষেত্রে অ্যাকজিমার সমস্যা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, অ্যাকজিমা রোগটি সাধারণত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করলে ও বর্জ্য পদার্থ সঠিক মাত্রায় না বের হলেই এ সমস্যা দেখা দেয়।
তাই এই চর্মরোগ দিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। বাইরে থেকে এটি সারানোর চেষ্টা না করে বরং ভেতর থেকে সুস্থ থাকতে হবে। ডা. মার্ক হেইমেন তার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় জানিয়েছেন, কীভাবে অ্যাকজিমা থেকে মুক্তি মিলবে-
Advertisement
>> অ্যালিমেশন ডায়েট এই ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে। অর্থাৎ আপনার শরীরে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে, অথবা পেট গরম করে দেয় এমন খাবার একেবারেই খাবেন না।
তার মধ্যে দুধ জাতীয় খাবার, গ্লুটেন ও অত্যধিক কার্ব জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়! বেশি মাত্রায় চিনি থেকেও শরীরের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
View this post on InstagramA post shared by Mark Hyman, M.D. (@drmarkhyman)
>>ফিশ অয়েল, হলুদ ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে অ্যাকজিমার রোগীকে। এসব উপাদান শরীরের প্রদাহ কমায় ও পুষ্টিগুণ বজায় রাখে।
Advertisement
>> প্রবায়োটিক জাতীয় সাপ্লিমেন্ট খাওয়াও খুব জরুরি। এতে হজম যেমন ভালো হয়, ঠিক তেমনই শরীরের বর্জ্য পদার্থও বেরিয়ে যায়।
শরীরের গরমভাব বেরিয়ে যাওয়া। এটি ফিকশনাল ওষুধ হিসেবে কাজ করে। খাবার থেকে হওয়া অ্যালার্জির সমস্যা দূর করে প্রোবায়োটিক।
>> দৈনিক অন্তত ৮ ঘণ্টার ঘুম খুব দরকার। এতে শরীর ভেতর থেকে ভালো থাকবে। ঘুম কম হলে দুশ্চিন্তা-হতাশাসহ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা বেড়ে যায়।
>> প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি কিংবা যোগাসন করলে শরীর ভালো থাকবে। আর রোগব্যাধির আশঙ্কাও কমবে।
>> সবকিছুর মধ্যে নিজেকে শান্ত রাখুন। এজন্য প্রয়োজন মেডিটেশন। নিজের ভালো লাগে এমন কাজ করুন। তাহলে মন ভালো থাকবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
জেএমএস/জিকেএস