দেশজুড়ে

৬৬ লাখ টাকা পেলেন সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীরা

‘শেখ হাসিনার নির্দেশ, জলবায়ু সহিষ্ণু বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যে মহেশখালী উপজেলার বন বিভাগের আওতাধীন সমাজিক বনায়নের উপকারভোগীরা পেলেন লভ্যাংশের ৬৬ লাখ টাকার চেক। এই প্রথম উপকারভোগীদের লভ্যাংশর টাকা বিতরণ করলো উপকূলীয় বন বিভাগ।

Advertisement

উপকূলীয় বন বিভাগ কর্তৃক বনায়নের জন্য উপজেলায় শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা গত ১০ বছর ধরে এই বনায়ন সৃজন ও রক্ষাণাবেক্ষণ করে আসছিলেন।

সোমবার বিকেলে উপজেলার কালারমারছড়ার আধারঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপকূলীয় বন বিভাগ। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহেশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফ বাদশা, মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হাই, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরিদুল আলম, কালারমারছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান তারেক ওসমান শরিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম চৌধুরী, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু নোমান মো. আব্দুল্লাহ, উপজেলা বন র্কমর্কতা আনিসুল হক।

এতে সমাজিক বনায়নের সভাপতি ছিদ্দিক আহমদ, আমান উল্লাহসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, এবার মহেশখালীতে ৬০ জনকে সামাজিক বনায়নের গাছ বিক্রির লভ্যাংশ ৬৬ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে। এটি দেখে আগামীতে আরো বেশি মানুষ সামাজিক বনায়ন সৃজনে আগ্রহী হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহেশখালীতে কাঁকড়া চাষ করলে বন বিভাগের লাইন্সেস নিতে হয় এবং তা অল্প টাকায়। আমরা চাই সবাই স্বাবলম্বী হয়ে মহেশখালীর উন্নয়নের অংশিদার হোক।

সভায় প্রধান অতিথি বলেন, আমরা পাহাড়ের গাছ কাটি, এটি গুরুতর অপরাধ। আমরা সামাজিক বনায়ন আরো বেশি করে সৃজন করে এভাবে ঘরে বসে টাকা রোজগার করতে পারি। গাছ যেমন আমাদের অক্সিজেন দেয় তেমনি আমাদের আরো বহু উপকার করে। পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও এই বনায়ন কাজে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/জেআইএম

Advertisement