আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। বিএনপি অধ্যুষিত এলাকাতে থাকছে গোয়েন্দা নজরদারি। ঢাকা মহানগর পুলিশ ও র্যাব সদর দফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয় ও ধানমন্ডি রাসেল স্কয়ারের সামনে এবং বিএনপি নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে। গতকাল (সোমবার) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ১৯ শর্ত আরোপ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তার চলাচল স্বাভাবিক রেখে সমাবেশ করতে বলেছে ডিএমপি। অন্যদিকে বাইতুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইট সংলগ্ন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং ধানমন্ডিস্থ রাসেল স্কয়ারে পৃথক ২টি সমাবেশ অনুমতি পায় আওয়ামী লীগ। সেখানেও আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি। জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে দুপুর ২টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে বলেও জানায় ডিএমপি। সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এডিসি এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার জাগো নিউজকে বলেন, সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না ঘটে সেজন্য তিন স্থানেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। বিএনপি কার্যালয় ও আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পোষাকধারী পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি গোয়েন্দা সদস্যরা নজরদারি রাখছেন। সমাবেশস্থল তিনটিসহ বিভিন্নস্থানে লাগানো সিসি টিভি ক্যামেরাও মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ যাতে সমাবেশে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্রসহ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তল্লাশিও চালানো হচ্ছে। কোনো ধরণের অভিযোগের প্রমাণ মিললে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জাগো নিউজকে বলেন, র্যাব বরাবর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করে এসেছে। সমাবেশকে ঘিরে কোনো ধরণের অপতৎপরতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব।জেইউ/জেডএইচ/পিআর
Advertisement