দোয়া-ই ইবাদত। আবার দোয়াকে ইবাদতের মূলও বলা হয়েছে। এই দোয়া কবুলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় ও স্থান আছে। যে সময় ও স্থানে দোয়া কবুল হয়। মানুষের দোয়া কবুল হওয়ার জন্য এমন কিছু নেক আছে; যেগুলো দোয়া কবুলের জন্য ওসিলা। কী সেই সব নেক আমল?
Advertisement
অনেকেই দোয়া কবুল হওয়ার জন্য অনেক আমল করেন। অনেক সময় ভুল পদ্ধতি অবলম্বনের কারণে দোয়া কবুল হওয়ার বিপরীতে তা গুনাহের কাজে পরিণত হয়। তাই দোয়া কবুলের জন্য কিছু নেক আমলকে ওসিলা হিসেবে গ্রহণ করা যায়।
দোয়া কবুলের জন্য বিশুদ্ধ হাদিস সম্মত আমল
১. কোরআন থেকে যে কোনো অংশ তেলাওয়াত করে দোয়া করা। দোয়া কবুলের নিয়েতে নির্ধারিত কোনো সুরা, আয়াত বা কোরআনের কোনো অংশ তেলাওয়াত করার প্রয়োজনীয়তা নেই।
Advertisement
২. দিন-রাতে অবসর সময় পেলে নফল নামাজ পড়ে দোয়া করা।
৩. রোজা রেখে দোয়া করা।
৪. ইফতারের আগে ইফতারি সামনে রেখে দোয়া করা।
৫. আল্লাহর জন্য দান-সদকাসহ ইত্যাদি নেক আমল করার পর এ সব নেক আমলের ওসিলা ধরে আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
Advertisement
যেভাবে দোয়া করতে হবে
এসব নেক আমলের ওসিলায় দোয়া করলে তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন- দোয়া কবুল হওয়ার জন্য এভাবে বলা-
‘হে আল্লাহ! আমার কোরআন খতম, কোরআন তেলাওয়াত, নফল কিংবা ফরজ নামাজ, রোজা, ইফতার, সাহরি এবং দান-সাদকার ওসিলায় আমার দোয়া কবুল করুন। আমার সব সমস্যা ও প্রয়োজন পূরণ করে দিন। আমাকে সুস্থতা দান করুন। যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করুন ইত্যাদি।’
যেসব সময়ে দোয়া করা
এছাড়াও দোয়ার শর্তাবলী ঠিক রেখে দোয়া কবুল হওয়ার অধিক সম্ভাবনাময় সময় ও ক্ষেত্রগুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে দোয়া করা। যেমন-
১. ভোর রাতে দোয়া করা।
২. যে কোনো নামাজের সেজদায় দোয়া করা।
৩. রোজা অবস্থায় দোয়া করা।
৪. ইফতারের আগ মুহূর্তে ইফতারি সামনে নিয়ে দোয়া করা।
৫. সফর অবস্থায় দোয়া করা।
৬. আজান ও ইকামতের মাঝামাঝি সময়ে দোয়া করা।
৭. জুমার দিন আসরের পর থেকে মাগরিবের মাঝামাঝি সময়ে দোয়া করা।
এভাবে নিজ বাবা-মা ও নেককার-পরহেজগার ব্যক্তিদের কাছে দোয়া চাওয়া। আশা করা যায়, মহান আল্লাহ এসব পদ্ধতি ও ওসিলা গ্রহণকারীর সব হালাল ও বৈধ দোয়া কবুল করবেন। ইন শা আল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত উপায় ও পদ্ধতি অনুসরণ ও অনুকরণ করে দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম