দেশজুড়ে

এমপি পুত্রের ভয়ে আ.লীগ নেতা বাড়ি ছাড়া

খুলনা-৬ আসনের (কয়রা-পাইকগাছা) সংসদ সদস্য অ্যাড. শেখ নুরুল হকের ছেলে মনিরুল ইসলাম ও তাদের গুণ্ডা বাহিনীর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজ গোলদার ও তার পরিবার। তার পৈত্রিক সম্পত্তির বসতবাড়ি জবর দখলের চেষ্টায় গত সোমবার বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করলেন পাইকগাছা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ গোলদার। গুণ্ডা বাহিনীর হাত থেকে রেহাই পেতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার দাদি ১৯৪৬ সালে ৪২০ নং পাট্টা দলিলমূলে দশমিক ৩৩ শতক ও তার বাবার ১৯৪৮ সালে ৪১১১ নং কোবলা দলিলমূলে কেনা দশমিক ৩৩ শতক মোট দশমিক ৬৬ শতক জমি (যার এসএ খতিয়ান নং-৫৬) তিনি পৈত্রিক সূত্রে পান। পরে ৫২৮৫ নং কোবলা দলিলে ৬ দশমিক ৬০ শতক জমি কিনে মোট ৭২ দশমিক ৬০ শতকের মধ্যে কিছু জমির বিক্রির পর ১৯ দশমিক ৭৫ শতক সম্পত্তির বসত বাড়িতে দীর্ঘ ৭০ বছর পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। যার সর্বশেষ ভূমি জরিপের ১৯৪ নং ডিপি খতিয়ান আব্দুল আজিজ গোলদারের নামেই। কিন্তু বাড়ির পাশের ১/১নং খাস খতিয়ানের ‘খ’ তফশিলভুক্ত কিছু জমির পাওয়ার অব এ্যার্টানি নিয়ে বেআইনিভাবে তার বসত বাড়িটি জবর দখলের চেষ্টা করছেন এমপি পুত্র।তিনি আরও বলেন, গত ৩ জানুয়ারি পাইকগাছা দেওয়ানী আদালতে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন তিনি। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে এমপি শেখ নুরুল হকের নির্দেশে তার গুণ্ডা বাহিনী বসত ঘরের আংশিক, রান্নাঘর, গোয়াল ঘর ও মুরগি পালনের ঘরগুলো ভেঙে ব্যাপক লুটপাট করেছে। লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি ও মারপিট করেছে তার স্ত্রী ও পুত্রবধূকে। এমপির গুণ্ডা বাহিনী আওয়ামী লীগ নেতা আজিজ ও তার ছেলেদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করাসহ যে কোন সময়ে তাকে ও তার ছেলেদের হত্যার আশঙ্কা করছেন তিনি।খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শেখ নূরুল হক, তার ছেলে শেখ মনিরুল ইসলাম ও তাদের গুণ্ডা বাহিনীর হাত থেকে রেহাই পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজ গোলদার। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে পাইকগাছা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন বলে উল্লেখ করেছেন।আলমগীর হান্নান/এসএস/এমএস

Advertisement