দেশের আদালতে মামলাজট কমাতে যা যা প্রয়োজন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তাই করবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আদালতের মামলার জট কমাতে পৃথিবীতে যেসব পদ্ধতি আছে, যা যা অনুসরণ করা প্রয়োজন, আমরা তাই করবো।’
রোববার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের ৪৩ ও ৪৪তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি যখনই মনে করবেন তখনই সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেবেন বলেও জানান তিনি।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, বিচারকরা হলেন বিচার বিভাগের প্রধান চালিকাশক্তি। তাই তাদের দক্ষতা উন্নয়নে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ফলে আজ এই ইনস্টিটিউটে একই সঙ্গে দুটি ব্যাচের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে ৭০ জন অংশ নিতে পেরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।
এর আগে অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার বিচার বিভাগের জন্য জেলায় জেলায় সুউচ্চ অবকাঠামো নির্মাণ করছে। বিচারকদের দেশীয় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান ও ভারতে নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে বিচারকদের। গাড়ি সুবিধা প্রদান করেছে। এসব কিছু করার উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণকে সময়মত ন্যায়বিচার প্রদান করা ও জনগণের প্রত্যাশা মিটানো।
তিনি আরও বলেন, মামলাজট কমানো এখন বিচারকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এখুনি এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারলে ভবিষ্যতে তা আরও জটিল হয়ে দাঁড়াবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমাদের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নতুন চ্যালেঞ্জ যুক্ত হচ্ছে। নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আজকে যদি মামলা জট না কমানো যায় তাহলে সেটা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে। মামলা জট না কমলে বিচার বিভাগ প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা সময় মতো বিচার পাওয়া ও ন্যায় বিচার পাওয়া। ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে সাড়ে তিন কোটি মানুষকে সেবা দিতে পারায় বিচারকদের প্রশংসা করেন মন্ত্রী।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বক্তৃতা করেন।
এফএইচ/এআরএ/এমএস