ভারতের পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় যাত্রাপথে অবরোধের শিকার হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অবরোধের জেরে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছতে না পেরে ২০ মিনিট বাদে সেখান থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হন নরেন্দ্র মোদী। বুধবার (৫ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মশাল মিছিল করেছে বিজেপি। এ ধরনের ঘটনাকে নজিরবিহীন এবং ভয়াবহ বলেও মনে করছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ত্রিপুরার নেতা-কর্মীরা। একইসঙ্গে অবরোধের প্রতিবাদে প্রদেশ বিজেপির পক্ষ থেকে সাত দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার কৃষ্ণনগরে প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ের সামনে থেকে মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সহ মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা। এ সময় মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজনীতি এতো তলানিতে গিয়ে ঠেকবে তা কখনোই ভেবে উঠতে পারছে না দেশবাসী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অবরোধের প্রতিবাদে ত্রিপুরায় মশাল মিছিল করে বিজেপি
Advertisement
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে এর আগেই রাজধানী আগরতলার মেহের কালীবাড়িতে গিয়ে প্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে পাঞ্জাবের মতো বীরভূমিতে তার জীবনের নিরাপত্তা তলানিতে গিয়ে ঠেকে। কংগ্রেস পরিচালিত সরকার সে রাজ্যে কাপুরুষের মতো এবং ষড়যন্ত্রমূলক যে চক্রান্ত রূপায়িত করার প্রয়াস নিয়েছে, তা এককথায় ন্যাক্কারজনক।
দলের পক্ষে প্রদেশ মুখ্য প্রবক্তা সুব্রত চক্রবর্তীও এর আগে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘটনার জবাব দিতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান। এ ঘটনায় নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে আগামী সাত দিনব্যাপী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
নরেন্দ্র মোদীকে অবরোধের নিন্দা জানিয়েছেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি ড. মানিক সাহাও। তিনি মনে করেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার এ গলদের জন্য জাতীয় কংগ্রেস এবং কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাব সরকারই দায়ী। হতাশাগ্রস্ত কংগ্রেসই এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
কেএসআর/জেআইএম
Advertisement