অর্থনীতি

বিশাল ছাড়ে বাণিজ্য মেলায় প্রাণ

প্রতিবারের মত এবারও ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা দর্শনার্থী ও ভোক্তাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বড় পরিসরে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম খাদ্য প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান প্রাণ। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন অফারসহ প্রতিটি পণ্যেই রয়েছে বিশেষ ছাড়। তাই অন্যান্যদের চেয়ে প্রাণের স্টল-প্যাভিলিয়নে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বেশি ঝুঁকছেন। মেলায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রাণের প্রিমিয়ার মিনি প্রিমিয়ামসহ ৯টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। এগুলোতে প্রাণের পণ্যে বিভিন্ন অফার ও ছাড়ে ছড়াছড়ি। রয়েছে বন্ধু প্যাক, মন্টি প্যাক, ককটেল অফারসহ বিভিন্ন নামে বিশেষ ছাড়।প্রাণের অ্যাসিটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, দেশি ও বিদেশি ক্রেতা-দর্শনার্থীদের মাঝে পরিচয় করিয়ে দেয়া বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য। স্ন্যাকস, কনফেকশনারি, বেভারেজ, মসলা, চাল, বিস্কুট ও ডেইরিসহ সব ধরনের পণ্য মেলায় নিয়ে এসেছে প্রাণ। ক্রেতাদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। সর্বনিম্ন ৪০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় ১৫টির বেশি বিশেষ অফারে নগদ অর্থ ছাড়ে ক্রেতা দর্শনার্থীরা প্রাণের পণ্য কিনতে পারবেন। একই সঙ্গে সর্বনিম্ন ১০০ টাকার পণ্য কিনলে নগদ ১০ টাকা ছাড় রয়েছে মেলায়।প্রাণের পণ্যে যেসব অফার চলছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে : টিন অফার, এর মধ্যে আছে প্রাণ ম্যাগোবার ২টি, পিনাট বার ২টি, রান এনার্জি বার ১ টি, মি. ম্যাংগো ক্যান্ডি ৫টি। মেলা উপলক্ষে এসব পণ্যে ৪০ টাকা অফার প্রাইজ ধরা হয়েছে।মন্টি প্যাক : এতে আছে প্রাণের ১২৫ মিলি জুনিয়র জুস, পিনাট বার, ঝাল মুড়ি, জিরোস চিপস, স্ন্যাকার লেয়ার কেক, অ্যাটম গাম, রোবাস্ট ১৮ গ্রাম, চকোবিন ব্লিস্টার বাজরে ৫৯ টাকা বিক্রি হলেও মেলায় অফার প্রাইজ নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। কিডস চয়েজ নামে অফারে রয়েছে লাচ্ছি ১৭০ মিলি, ক্রাকো পপ কর্ন , রান এনার্জি বার, নাটগুরু, ফ্রটফান বিস্কুট, হানি বি বিস্কুট, ছোট কাকু ক্যান্ডি বাজার মূল্য ৬০ টাকা থাকলেও মেলা উপলক্ষে ৫০ টাকা অফার প্রাইজ নেয়া হচ্ছে।জুস ও স্ন্যাকস অফারে রয়েছে ফ্রটো ২৫০ মিলি, লাচ্ছি ১৭০ মিলি, স্ন্যাকার পটেটো চিপস, জিরোস চিপস, নাটগুরু। যার বাজার মূল্য ৬৭ টাকা কিন্তু মেলায় অফার প্রাইজ নেয়া হচ্ছে ৬০ টাকা।বন্ধু প্যাকে থাকছে ১১টি পণ্য। যার বাজার মূল্য ১২০ টাকা আর মেলায় অফার প্রাইজ নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। ফূর্তি অফারে কোমলপানীয় ব্রেভার ২৫০ মিলিসহ ১০টি আইটেম রয়েছে। যার বাজার মূল্য ১১৪ টাকা আর মেলায় অফার প্রাইজ ১০০ টাকা।বিস্কুট টাইম নামে রয়েছে বিশাল ছাড়ের অফার। এ অফারের রয়েছে ফিট মিল্ক বিস্কুটসহ ১১টি আইটেমের বাজার মূল্য রয়েছে ১৮৩ টাকা। যা ডিআইটিএফ প্রাইজ নেয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা।মেলা উপলক্ষে গৃহিনীদের জন্য মসলার বড় ধরনের অফার নিয়ে এসেছে প্রাণ। মিট মসলাসহ ৪টি মসলার বাজার দর ১৯৩ টাকা হলেও মেলায় নেয়া হচ্ছে ১৭০ টাকা।ককটেল অফারে রয়েছে ৩৫০ গ্রাম টোস্টসহ ৫টি পণ্য। যা বাজারে ২৪৬ টাকা বিক্রি হয়। কিন্তু মেলায় নেয়া হচ্ছে ২০০ টাকা।মেলায় ভেজিটেবল সিঙ্গারা, সামুচা, স্প্রিং রোল, সস (প্রত্যেকটি ১০ পিস) নিয়ে আড্ডা অফার এনেছে প্রাণ। যার বাজার মূল্য ২৩০ টাকা কিন্তু মেলায় নেয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। প্রাণ ঘিসহ ৫টি পণ্য নিয়ে কিচেন অফারের বাজার মূল্য ২৩৮ টাকা হলেও মেলায় নেয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। প্রাণের সব ধরনের সস একটি করে (৪টি) বাজার মূল্য ৩১০ টাকা হলেও মেলায় নেয়া হচ্ছে ২৭৫ টাকা। যার নাম দেয়া হয়েছে সস লাভার অফার।সবাই সুখে থাকুক এই চিন্তা মাথায় রেখে প্রাণ পণ্যের দাম নির্ধারণ করে। আর সেই সুখের চিন্তু করেই মেলায় হ্যাপি প্যাক নামে একটি অফার এনেছে প্রাণ। যার মধ্যে রয়েছে : চিনিগুড়া, চাল, মিল্ক, টমেটো সস, সান ফ্লাওয়ার অয়েল, স্টিক এগ নুডলস।এসবের বাজার মূল্য ৪৯০ টাকা হলেও মেলার দর্শনার্থীদের ছাড় দিয়ে ৪০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এছড়াও দাওয়াত অফারে রয়েছে প্রিমিয়াম ঘিসহ ৬টি পণ্য। যার বাজার মূল্য ৬১৮ টাকা। কিন্তু মেলায় নেয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা।প্রাণের প্যাভিলিয়নে কয়েকজন ক্রেতা দর্শনার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, প্রাণের পণ্যে বিভিন্ন ছাড় দেয়া হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে মান সম্মত পণ্য রয়েছে। আর এ কারণে প্রাণের পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন তারা।আব্দুল হাকিম নামে একজন ক্রেতা জাগো নিউজকে জানান, প্রাণ মেলা উপলক্ষে ছাড় দেয়ায় তাদের কোমল পানীয়র একটি প্যাকেজ কিনলাম। তবে আরো ছাড় দেয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।উল্লেখ, ১ জানুয়ারি শুক্রবার মাস ব্যাপি ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ মোট ২২টি দেশ অংশ নিয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রবেশ মূল্য বা টিকিট মূল্য ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য থাকছে ২০ টাকা করে।এ বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১৩টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫৫৩টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে  প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬০টি,  জেনারেল প্যাভিলিয়ন ১০টি, রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন ৩টি, ফরেন প্যাভিলিয়ন ৩৮টি অন্যতম। এ ছাড়া থাকছে  প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৩৬টি,  জেনারেল মিনি প্যাভিলিয়ন ১৩টি, রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন ৬টি, ফুড স্টল ২৫টি, রেস্টুরেন্ট ৫টি।এসআই/এসকেডি/আরআইপি

Advertisement