১০৯ বছরের বৃদ্ধা জেবুন্নেছা। হাঁটার শক্তি হারিয়েছেন অনেক আগেই। তারপরও ভ্যানে শুয়ে শীত উপেক্ষা করে এসেছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু ভোট দিতে না পেরে ফিরে যেতে হয়েছে তাকে। জেবুন্নেছার নাতি বুথে গিয়ে জানতে পারেন, আগেই একজন তার ভোট দিয়ে দিয়েছেন।
Advertisement
বুধবার (৫ জানুয়ারি) এমনই ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
বৃদ্ধা জেবুন্নেছার নাতি নাঈমুল ইসলাম নয়ন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার দাদি হাঁটতে পারেন না। তারপরও তার ইচ্ছায় ভোট দিতে নিয়ে এনেছিলাম। ভোট নষ্ট করে তো লাভ নেই। কিন্তু ভোটকেন্দ্রের বুথে গিয়ে জানতে পারি দাদির ভোট আগেই কে যেন দিয়ে গেছে। বিষয়টি প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তো কাউকে চিনি না। প্রতিটা বুথে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট রয়েছে। তারা না চিনতে পারলে আমার কী করার আছে বলেন?’
Advertisement
পঞ্চম দফায় ইউপি নির্বাচনে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ১২ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার আট ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত শৈলকুপায় ১১২ ও হরিণাকুন্ডুতে ৮২ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসআর/জিকেএস