রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে টিকাদান কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশে গত বছরের ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদানের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না ও সিনোভ্যাকসহ আরও চার ধরনের টিকা যুক্ত হয়। আজ পর্যন্ত (৪ জানুয়ারি) দেশে মোট টিকা নিয়েছেন প্রায় ১৩ কোটি মানুষ।
Advertisement
এখন পর্যন্ত দেশে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৯৫ লাখ ৭৯ হাজার ১১১ জনে। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৭ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৬ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৮২ হাজার ৬৪০ জন। এছাড়া বুস্টার ডোজ গ্রহীতা ২ লাখ ৭ হাজার ১৮৫ জন।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজসহ মোট ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে প্রথম ডোজ ৭ লাখ ১৮ হাজার ৮৩২ জন, দ্বিতীয় ডোজ ৩ লাখ ৭১ হাজার ১৭৮ জন ও বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৩৫ জন।
Advertisement
এ সময়ে প্রথম ডোজের টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪০৮ জন ও নারী ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪২৪ জন, দ্বিতীয় ডোজের টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫০৫ জন ও নারী ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৩ জন ও বুস্টার ডোজের টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৩২ হাজার ৪২০ জন ও নারী ১৭ হাজার ১১৫ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা যায়, ১ নভেম্বর থেকে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয়েছে। ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৪৭ লাখ ৫ হাজার ৫৬৪ জন শিক্ষার্থী টিকা নেন। তার মধ্যে প্রথম ডোজের টিকাগ্রহীতা ৪১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৩ জন ও দ্বিতীয় ডোজের টিকাগ্রহীতা ৫ লাখ ৭১ হাজার ৮৭১ জন।
এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমেও টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২ কোটি ৬৪ লাখ ৩ হাজার ৯৫২ জন টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকাগ্রহীতা ১ কোটি ৭৩ লাখ ১১ হাজার ৫৮২ জন ও দ্বিতীয় ডোজের টিকাগ্রহীতা ৯০ লাখ ৯২ হাজার ৩৭০ জন।
এমইউ/এআরএ
Advertisement