১৯৭২ সালের ১৫ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এই প্রতিষ্ঠানটি পা রাখছে ৫০ বছরে।
Advertisement
২০২২ সাল বাফুফে প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী। বাংলাদেশ পালন করছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। স্বাধীনতা অর্জনের ৮ মাস পর জন্ম নেওয়া বাফুফে কি সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশেষ কোনো কর্মসূচি আয়োজন করছে?
এ বিষয়ে বাফুফের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাফুফের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ কিছু আয়োজনের পরিকল্পনা আমার আছে। যে আয়োজনের মাধ্যমে ৫০ বছর পূর্তিটা স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে।’
কী আয়োজন করবে বাফুফে? কাজী মো. সালাউদ্দিন তা এখনই প্রকাশ করতে চাইলেন না, ‘২০২২ সাল বাফুফের জন্মের ৫০ বছর পূর্তির। আমি কিছু প্লান করেছি। তবে এ নিয়ে এখনও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করিনি। আলোচনা করে তারপর জানিয়ে দেব ফেডারেশনের সুবর্ণজয়ন্তীতে কী করতে যাচ্ছি আমরা। তবে স্মরণীয় কিছু করার পরিকল্পনা আছে আমার।’
Advertisement
আপনি তো মেসির আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় এনে ম্যাচ খেলিয়ে চমক দেখিয়েছিলেন। তার চেয়েও বড় কিছু কি দেখতে পারবে ফুটবলপ্রেমীরা? ‘আমি তো বললাম যে, এখনই আমি কিছু বলব না। আমার ভাবনাটা সবার সঙ্গে শেয়ার করব। তারপর কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে ঘোষণা দেব’-বলছিলেন কাজী মো. সালাউদ্দিন।
বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বলেছেন, ‘আমরা দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি পালন করেছি। ২০২২ সাল বাফুফের ৫০ বছর পূর্তির। এটা একটা মাইলফলক। যারা এখন ফেডারেশনের দায়িত্বে আছি তাদের সৌভাগ্য। এটাকে অবশ্যই স্মরণীয় করে রাখতে কিছু একটা করা দরকার। এমন কিছু আয়োজন করা উচিত যাতে ৫০ বছর পূর্তির বছরটি স্মরণীয় হয়ে থাকে।’
আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেছেন, ‘দেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি পালন করছে। বিভিন্ন সেক্টর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করেছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। বাফুফের কার্যক্রমও তার মধ্যেই পড়ে। তারপরও কিছু হওয়া দরকার। যারা এখন বাফুফের দায়িত্বে আছেন তাদের ভালো কিছু আয়োজন করতে হবে, যার মাধ্যমে সুবর্ণজয়ন্তীর বছরটাকে সবাই মনে রাখেন।’
আরআই/এমএমআর/এএসএম
Advertisement