দেশজুড়ে

বাগমারায় বোমা হামলায় নিহত যুবকের পরিচয় মেলেনি

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সৈয়দপুর মচমইল চকপাড়ায় আহমাদিয়া মুসলিম জামাত জামে মসজিদে বোমা হামলার ঘটনায় নিহত যুবকের পরিচয় এখনো পাওয়া যায় নি। ঘটনার ৯ দিন পার হলেও ঘটনার কোনো মোটিভ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে এ ঘটনার পর নিহত যুবককে ১নং আসামি করে অজ্ঞাত দুইজনের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় মামলা দায়ের করলেও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি। তবে এ ঘটনার প্রকৃত মোটিভ উদ্ধারে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বাগমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান। এ সময় তিনি আরও বলেন, বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছেন তিনি। আর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও নিহত যুবকের পরিচয় উদঘাটন না হওয়ার ফলে ওই এলাকায় এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে বাগমারা উপজেলার মচমইল এলাকার সৈয়দপুর মচমইল চকপাড়ায় আহমাদিয়া মুসলিম জামাত জামে মসজিদে ঘটনার দিন থেকেই নামায আদায় অব্যাহত আছে। তবে আবারও এ ধরনের হামলার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন আহমদীয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশ রাজশাহীর সভাপতি সামস বিন তারিক সাইফুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনা রাজশাহীতে প্রথম। এর আগে এ অঞ্চলের কোনো মসজিদে নামায চলাকালে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে ঘটনার ৯ দিন পার হলেও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিহত যুবকের পরিচয় ও জড়িতদের গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি নিজেও এ ঘটনার পর বেশ আতঙ্কিত বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে, বোমা বিস্ফোরণে নিহত যুবকের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে (২৭ ডিসেম্বর) রোববার বিকেলে মহানগরীর হেতেমখাঁ গোরস্থানে দাফন করা হয় । তবে ইতোমধ্যে নিহত যুবকের পরিচয় জানতে তার ছবিসহ যাবতীয় তথ্য শনাক্তের জন্য দেশের ৬৪টি জেলায় সব কটি থানায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু নিহত যুবকের সঙ্গে কোনো চিটকুট, মোবাইল ফোন কিংবা মানিব্যাগ না থাকায় তার পরিচয় জানতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার নিশারুল আরিফ। এ সময় তিনি আরও বলেন, নিহত যুবকের কোনো পরিচয় বহরকারী কোনো বস্তু পুলিশের হাতে না পৌঁছায় তদন্ত কাজ ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই সনাতন পদ্ধতিতে তদন্ত কাজ চালানো হচ্ছে। তদন্ত কাজ আগের চেয়ে অনেকটা এগিয়েছে। আর খুব তাড়াতাড়ি নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্তসহ জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব বলে জানান তিনি। এদিকে, পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরাও ঘটনার মোটিভ ও জড়িতদের গ্রেফতারে তৎপর আছেন বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুব আলম। এ সময় তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর ওই এলাকার দুজনকে আটক করে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছিলো। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্ত না করায় তদন্ত কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত জঙ্গি সংগঠনের খোঁজে কাজ করছে তাদের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। সেই সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা আর যেন কেউ ঘটাতে না পারে সেদিকেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজশাহী বাগমারা উপজেলার মচমইল এলাকার সৈয়দপুর মচমইল চকপাড়ায় আহমাদিয়া মুসলিম জামাত জামে মসজিদে (২৫ ডিসেম্বর) শুক্রবার জুম্মার নামায চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়। আহত হয় আরও ৫ জন। শাহরিয়ার অনতু/এসএস/এআরএস

Advertisement