ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের উত্তরীয় পরানোর তালিকায় নাম না থাকায় এক ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে আরেক নেতাকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দত্তকে (২৬) জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।আহত সুজন সাংবাদিকদের বলেন, দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের পুরাতন ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের উত্তরীয় পড়ানোর তালিকা প্রস্তুতের জন্য জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল মিয়া আমাকে দায়িত্ব দেন। এ সময় তার সহযোগিতায় সাংসদ মোকতাদির চৌধুরীকে উত্তরীয় পড়ানোর জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহর নাম, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিনকে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান রনি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারকে উত্তরীয় পড়ানোর জন্য জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিন মিয়ার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়। তালিকায় জেলা ছাত্রলীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান লেনিনের নাম না থাকায় অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের সামনে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে অনুষ্ঠান শেষে লেনিন তার সমর্থকদের নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়।তবে উত্তরীয় পড়ানো নিয়ে সুজনকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান লেনিন জাগো নিউজকে বলেন, আমি অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির দায়িত্বে ছিলাম। সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী বারবার মঞ্চ থেকে সকলকে যার যার আসনে বসার কথা বলছিলেন। এ সময় সুজন দাঁড়িয়ে হৈচৈ করছিলেন। আমি সুজনকে বসতে বললে সে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। পরে অনুষ্ঠান শেষে আমাকে পছন্দ করে এমন কয়েকজন ছোট ভাই সুজনকে দু-একটি চর-ধাপ্পড় মেরেছে। তবে সুজনের সঙ্গে আমার কোনো হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি।এ ব্যাপারে সদর মডেল থানা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছে, তবে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেননি।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এসএস/এমএস
Advertisement