শীতে পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া হয় না। ফলে শরীরে দেখা দেয় ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা। অতিরিক্ত পানিশূন্যতা মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। এমনকি হঠাৎ বিকল হতে পারে কিডনি।
Advertisement
এ বিষয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ সামাদ বলেন, ‘পানিশূন্যতার কারণে প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়। এ ছাড়াও হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। এমনকি কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম এক কারণ হলো পানিশূন্যতা।’
শীতে যেহেতু ঘাম হয় কম, ফলে পানি তৃষ্ণাও কম পায়। আর এ কারণেই দিনে ৩-৪ লিটার পানি খাওয়া হয় না। তবে জানেন কি, শীতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পানি করার বিকল্প নেই। জেনে নিন শরীরে পানির ঘাটতি হলে কোন কোন সমস্যা দেখা দেয়-
>> মাথা ব্যথা>> কোষ্ঠকাঠিন্য>> দুর্বলতা>> ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া>> অস্থিসন্ধিতে ব্যথা>> ওজন বেড়ে যাওয়া>> রক্তচাপ কমে যাওয়া>> ইউরিন ইনফেকশন >> কিডনির বিকল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
Advertisement
এবার জেনে নিন শরীরে পানির ঘাটতি হলে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়-
>> সবসময় খিদে পায়।>> প্রস্রাব হলুদ হয়ে যাওয়া, প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া>> নিংশ্বাসে দুর্গন্ধ>> মাথাব্যথা ও>> দুর্বলতা
এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই পানি ও তরলজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে। তবে যারা রোদে বেশিক্ষণ কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে পানি পানের পরিমাণও বাড়াতে হবে।
আবার যারা এসিতে বসে কাজ করেন, তাদেরও বেশি করে পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি ডাব, শসা, ডাল, তরকারির ঝোল ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে।
Advertisement
অন্যদিকে অতিরিক্ত পানি খাওয়াও মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে জানান ডা. সামাদ। তিনি বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠেই অতিরিক্ত পানি খাওয়া উচিত নয়। এতে বমি বমি ভাব ও মাথা ঘুরতে পারে।
আবার একসঙ্গে দ্রুত অত্যধিক পানি খাওয়াও ঠিক নয়। কিছুক্ষণ পরপর ধীরে ধীরে পানি পান করুন। এ বিষয়ে সবারই সতর্ক থাকা জরুরি।’
জেএমএস/জিকেএস