ভার্চুয়াল কোর্টে এখন পর্যন্ত ২ লাখ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
Advertisement
রোববার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মন্ত্রী।
মামলা জটের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মামলার জট বেড়েছে। করোনার কারণে আরও বাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ভার্চুয়াল কোর্ট আইন করে দুই লাখ মামলা নিষ্পত্তি করতে পেরেছি। এই আইন না করলে এই দুই লাখ মামলা যুক্ত হতো। করোনার আগে যেসব মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল, এখনো সেটাই আছে। আমরা কিছুটা হলেও কমাতে পেরেছি।’
নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় চ্যালেঞ্জগুলো আগেই সেট করে ফেলেছিলাম। চ্যালেঞ্জ ডেলিভারির সময় হয়ে গেছে। পদ্মা সেতু প্রায় কমপ্লিট। যে সব মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছিল সবগুলো ডিসেম্বর বা জুনের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। মেগা চ্যালেঞ্জ যেগুলো সেগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ডেলিভারি করার জন্য প্রস্তুত।’
Advertisement
‘আমাদের কাছে সব সময় যেটা চ্যালেঞ্জ, আমরা জনসেবায় বিশ্বাস করি। সেবার মান উন্নয়ন ও সেবা জনগণকে পৌঁছে দেওয়াটাই আমাদের কাজ এবং সেই কাজ করাটাকেই আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করি। আমাদের সব প্রোগ্রামই জনবান্ধব। জনবান্ধব প্রোগ্রামগুলো যাতে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেটাই আমরা চেষ্টা করবো।’
আনিসুল হক বলেন, ‘কাকে বিদেশ পাঠানো হবে, কাকে বিদেশ পাঠানো হবে না, দ্যাট ইজ নট দ্য প্রায়োরিটি। প্রায়োরিটি হচ্ছে, যে সেবাগুলো জনগণের অনেক আগে পাওয়া উচিত ছিল, সেই সেবাগুলো দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা ক্ষেত্র প্রস্তুত করে আজ পৌঁছে দেওয়ার মতো সময় এসেছে, আমরা পৌঁছে দেবো। সত্যিকারে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের উন্নত দেশ হবে। সেই উন্নত দেশ করার জন্য যা যা করার সেগুলো আমরা করতে প্রস্তুত হবো।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘চালিয়ে যাচ্ছি, সেসব করার জন্য আরও জোরালোভাবে এগুতে হবে, সেগুলো আমরা গ্রহণ করবো। আমার মনে হয় ৫ বছর পূর্ণ হলে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে অবশ্যই জনগণ এটা বুঝবে যে, কারা তাদের সেবা করেছে আর কারা নিজেদের সেবা করার জন্য বক্তব্য দিয়েছে। আমার মনে হয় না সেখানে জনগণ ভুল করবে।’
আরএমএম/এআরএ/জেআইএম
Advertisement